এবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এবার রাজ্যসভাতেও বিজেপির শক্তি কমল। রাজ্যসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সদস্য সংখ্যা আরও কমে গেল। বিজেপির ৪ সাংসদ রাকেশ সিনহা, রাম সাকাল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমালানি অবসর নিয়েছেন শনিবার। এরফলে রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে হল ৮৬ জন এবং এনডিএ জোটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১০১ জনে।
আরও পড়ুন: ‘খাড়গেজি, কী হল আপনাদের?’ অধীরকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস সভাপতিকে খোঁচা শমীকের
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যসভায় মোট ২২৬ জন সাংসদ রয়েছেন। এছাড়াও ১৯ টি সদস্যপদ এখনও খালি রয়েছে। সদস্য সংখ্যার বিচারে রাজ্যসভায় সবচেয়ে বড় দল বিজেপি। ওই চার জন সাংসদের পাশাপাশি বিজেপির আরও একজন সেপ্টেম্বরে অবসরে নিতে চলেছেন। তখন এনডিএ-র সদস্যপদ আরও কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় কেন্দ্রের সুপারিশে ১২ জন সদস্যকে মনোনীত করে থাকেন রাষ্ট্রপতি। যার মধ্যে, ৭ জন নিরপেক্ষ। তবে সাধারণত এই ধরনের সদস্যরা কোনও আইন বা রেজুলিউশন পাশ করার সময় শাসক দলকেই সমর্থন করে। অন্যদিকে, বর্তমানে যে ১৯ টি পদ ফাঁকা রয়েছে তার মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি। এই রাজ্যে চারটি শূন্যপদ রয়েছে। এছাড়া অসম, বিহার ও মহারাষ্ট্র থেকে দুটি করে, হরিয়ানা, তেলাঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ত্রিপুরা থেকে একটি করে শূন্যপদ রয়েছে।
তবে বর্তমান সময়ের কথা বললে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের ২৬টি আসন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতার চেয়ার নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সাধারণত রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা পেতে গেলে বা ধরে রাখতে গেলে সংসদের মোট সদস্যের ১০ শতাংশ সদস্য সংখ্যা থাকা প্রয়োজন। অর্থাৎ রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার পদ পেতে গেলে কমপক্ষে ২৫ টি আসন প্রয়োজন। যদিও বর্তমানে সদস্য সংখ্যার বিচারে কংগ্রেসের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে। তবে আগামী দিনে রাজ্যসভায় ১১ টি আসনের মধ্যে এনডিএ ৮টি পেতে পারে এবং মধ্য বিরোধী জোট ইন্ডিয়া পেতে পারে ৩ টি। যার মধ্যে তেলেঙ্গানা থেকে আসনটি কংগ্রেসের হতে পরে। ফলে ২৭ জন সদস্য নিয়ে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ ধরে রাখতে পারে কংগ্রেস।