আগেই বিবাদ শুরু হয়েছিল। তাই কলকাতায় এসেছিলেন দলবল নিয়ে। মাঝে রদবদল হয়েছে মন্ত্রিসভার। কিন্তু তারপরও ত্রিপুরা উত্তপ্ত হয়েই রয়েছে। বিরোধীদের উপর আক্রমণ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদযাত্রা করতে না দেওয়া–সহ নানা ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে ফের ফুঁসে উঠলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। আবার তিনি বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন৷ সরাসরি ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এই বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক৷ আর তাতেই বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে বিপ্লব দেবের সরকার।
সুদীপ রায় বর্মণ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে সেখানে জল্পনা চলছে। আবার সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসে সুদীপ এলে তাঁকেই করা হবে মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে অভিষেকের কথা অনুযায়ী, ভূমিপুত্রই হবে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলকে আবার নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি বিধায়ক৷
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক? এখন রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত ত্রিপুরা৷ এই পরিস্থিতি নিয়েই সুদীপ রায় বর্মন বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ থেকে সরে এলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না।’ আর এই মন্তব্যের পরই অস্বস্তি চরমে উঠেছে বিপ্লব দেবের। কারণ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী উত্তর–পূর্ব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে? বিপ্লব দেব কী সরে আসছেন দলীয় লাইন থেকে? সাধারণ মানুষ কী ক্ষুব্ধ?
এই বিষয়ে সুদীপ রায় বর্মণের দাবি, ‘এভাবে চলতে থাকলে মানুষ ভাববে অরাজকতা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু আর নেই। মুখ্যমন্ত্রী সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ক্রিমিনালরা ক্রিমিনালই হয়। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই বিরোধীদের উপর আক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করেছেন তিনি। আবার যারা এই আক্রমণ করছে তারা বিজেপির কেউ নয় বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। তাহলে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।