সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছিল। তিনি নাকি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যেতে চান। যদিও সে খবর অস্বীকার করেছিলেন হুগলির সাংসদ। মাঝে একবার নয়াদিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। এবার লকেট যাতে সিঙ্গল ফুল ছাড়া না হয় তার জন্য উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। তাই মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নয়াদিল্লিতে তাঁর বাসভবনে হুগলির সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। যদিও সেই বৈঠক নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে রাজি নন লকেট।
তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে বাবুল চলে যাওয়ায় বিজেপি বেশ ধাক্কা খেয়েছে। তাই আর যাতে সাংসদ বিধায়ক না ভাঙে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে নতুন টিম তৈরি করতে চান মোদী–শাহ–নড্ডারা। সে কথা বৈঠক করে লকেটকে জানিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। কিন্তু লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাকে উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে সহ–পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। সেখান থেকে ফিরেই আমি নয়াদিল্লি এসেছি। নাড্ডাজি ডেকে পাঠিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ড নিয়ে আলোচনার জন্য।’ এই মন্তব্য আসল বিষয় থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানে একটা বিষয় সবার অবাক লেগেছে। সেটা হল, উত্তরাখণ্ডের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে। সেখানে তাঁকে বাদ দিয়ে সহ–পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক বেশ বেমানান বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। কারণ এমনটা বিজেপিতে সচরাচর দেখা যায় না। তাই জল্পনা আরও বেড়েছে লকেটের বিষয়টি নিয়ে।
বাংলায় এখন দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সবাইকে কাজ করতে বলা হয়েছে।’ কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কি বিজেপি ছাড়ছেন? উত্তরে হুগলির সাংসদ বলেন, ‘আমি কেন বিজেপি ছাড়তে যাব? পরের বছর উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে দল আমাকে সহ–পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে। বাংলা থেকে প্রথমবার কোনও মহিলাকে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার সামনে এখন জাতীয় রাজনীতিতে কাজ করার সুযোগ। সেটাই করব।’