তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তাই জনগণের অসুবিধা করা তাঁর থেকে প্রত্যাশিত নয়। বিজেপি সাংসদকে বিমানে এই কথা মনে করিয়ে দিলেন সহযাত্রীরা।
বুক করা সিট না দেওয়ার জন্য স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাত্র দু’ দিন আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োতে কিন্তু উলটো কাহিনির হদিশ মিলেছে।
ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিমানযাত্রীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছেন সাংসদ সাধ্বী। এক পুরুষ যাত্রীর কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, যিনি প্রজ্ঞাকে বলছেন, ‘আপনি জনপ্রতিনিধি। আমাদের সমস্যায় ফেলা আপনার কাজ নয়। আপনার পরের ফ্লাইটে আসা উচিত।’
জবাবে সাংসদ বলেন, ‘কোনও প্রথম শ্রেণি বা অন্য সুবিধা যখন নেই’ তখন তিনি কীভাবে যাত্রা করবেন। এর জেরে ফের সেই পুরুষ যাত্রী বলে ওঠেন, ‘প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ ওঁর অধিকারে নেই।’
এতে বিরক্ত প্রজ্ঞা ওই যাত্রীর ভাষা নিয়ে আপত্তি তুললে ভদ্রলোক জানিয়ে দেন, ‘একেবারে সঠিক ভাষাতেই কথা বলছি।’
এই ভিডিয়ো ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হলে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে তুলোধনা করেন নেটিজেনরা। বিমানে সহযাত্রীদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহারের জন্য অনেকেই বিজেপি নেত্রীর তীব্র নিন্দায় মুখর হন।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার ভোপাল যাওয়ার জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে স্পাইসজেটের এসজি২৪৮৯ উড়ানে একটি আসন বুক করেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। নিজের হুইলচেয়ারে চেপে তিনি বিমানে ওঠেন। সাংসদের দাবি, নিয়ম দর্শিয়ে বুক করা আসনে তাঁকে বসতে দেয়নি স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ। তাঁর অভিযোগ, ‘আমাকে ওরা বুক করা সিট দেয়নি। আমি নিয়মাবলী দেখতে চাই। ওদের ডিরেক্টরকে ডেকে অভিযোগ দায়ের করি।’
অন্য দিকে স্পাইসজেট-এর তরফে সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘দিল্লি-ভোপাল উড়ানে বম্বার্ডিয়ার কিউ৪০০ বিমান ব্যবহার করা হয় যাতে ৭৮টি আসন রয়েছে। েই বিমানের প্রথম সারির আসন জরুরি হিসেবে চিহ্নিত এবং তাতে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের বসতে দেওয়ার নিয়ম নেই।’
তাঁর যুক্তি, ‘যেহেতু বিজেপি সাংসদ তাঁর নিজস্ব হুইলচেয়ারে চড়ে বিমানে উঠেছিলেন, বিষয়টি বিমানকর্মীরা বুঝতে পারেননি। নিরাপত্তার কারণে সাধারণ আসনে বসার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি রাজি হননি।’
বিমানকর্মীদের কথা না শোনায় এবার সহযাত্রীরা সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন, যা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিয়ো ফুটেজেই স্পষ্ট হয়েছে।