লোকসভা নির্বাচনে ২৪০ আসনে আটকে গিয়েছে বিজেপি। ম্যাজিক ফিগার থেকে বেশ অনেকটা কম আসন। তাই এবার বিজেপি সরকার কেন্দ্রে গঠন হয়নি। এবার কেন্দ্রে এনডিএ সরকার গঠন হয়েছে। শরিকদের নিয়ে এখন তা চলছে। কিন্তু এই আবহেও জয়ী সাংসদের মধ্যে ক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিজেপি নেতা তথা বিজয়পুরার সাংসদ রমেশ জিগাজিনাজি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী তিনি মন্ত্রী হতে পারেননি বলে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন হৃদয়ে বলে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি বলেই এই ক্ষোভ।
এদিকে এবার অনেককেই মন্ত্রী করা যায়নি। কারণ মন্ত্রিসভায় শরিক দলগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হয়েছে। তা না হলে তো সরকারই গঠন করা যেত না। তবে তার মধ্যেও এই বিজেপির জয়ী সাংসদ বলেন, ‘গোটা দক্ষিণ ভারতে একমাত্র দলিত সাংসদ হিসাবে আমি সাতবার নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আমার ভাগ্য দেখুন, সব উঁচু জাতের সদস্যরা মন্ত্রী হয়েছেন। দলিতরা কি বিজেপিকে সমর্থন করেনি? আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি নিজের জন্য মন্ত্রিসভায় জায়গা চাইনি। কিন্তু আমি যখন আমার কেন্দ্রে ফিরলাম তখন অনেকে সমালোচনা করেছেন। অনেকেই আমাকে আগে সতর্ক করেছিল যে, বিজেপি দলিত বিরোধী।’
আরও পড়ুন: প্রত্যেক জেলায় বিনামূল্যে বায়োপসি পরীক্ষা শুরু, ক্যানসারের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য দফতরের বড় উদ্যোগ
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ রমেশ জিগাজিনাজির এই মন্তব্য এখন দলের অন্দরে তুমুল ঝড় তুলেছে। কারণ এখন তিনি যদি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দেন তাহলে সেটা হবে বিজেপির কাছে বড় সেটব্যাক। তার উপর বিজেপি দলিত বিরোধী বলায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাপে পড়ে গিয়েছে। এই অভিযোগ সবার প্রথম তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সংসদে সেটা তোলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আর এবার দলের অন্দরেই খোদ বিজেপি সাংসদ একই প্রশ্ন তুলে দিলেন। কর্ণাটকের এই বিজেপি সাংসদের প্রশ্ন, ‘এখানে আমার উপর মানুষের চাপ ছিল। যাতে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হই। এটা ন্যায় না অন্যায়?’
বিজেপি সাংসদ রমেশ জিগাজিনাজি সাতবারের জয়ী সাংসদ। তিনবার জিতেছেন চিকোড়ি কেন্দ্র থেকে। আর চারবার জেতেন বিজাপুরা থেকে। একবারও হারেননি তিনি। চার দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ার তাঁর। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৭৭ হাজার ২২৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন রমেশ। কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ১৭টিতে জয়ী হয়। এই আবহে এমন প্রবীণ সাংসদকে কেন মন্ত্রী করা হল না? উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির অন্দরে এখন এই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।