নির্দেশ এসেছিল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে। কিন্তু, তাতেও ভ্রূক্ষেপ নেই অনেক বিজেপি সাংসদদেরই। প্রায়শই সংসদের অধিবেশনে গরহাজির থাকছেন তাঁরা। তাই এবার দলের সাংসদদের ‘ক্লাস’ নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আরও গুরুত্ব সহকারে নিজেদের করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
গতকাল বিজেপির সংসদীয় দলের সাপ্তাহিক বৈঠক ছিল। সেখানেই গরহাজিরার বিষয়ে সাংসদদের সতর্ক করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সংসদে উপস্থিতির বিষয়ে শৃঙ্খলার অভাব নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।" তারপরও সাংসদরা না শোধরানোয় প্রধানমন্ত্রী যে অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ, তা সাংসদদের জানান বর্ষীয়ান মন্ত্রীরা।
বিজেপি সাংসদদের গরহাজিরার প্রবণতা রুখতে গত জুলাইয়ে 'কড়া ওষুধ' দিয়েছিলেন মোদী। সাংসদদের প্রশ্ন করেন, তাঁদের লোকসভা এলাকায় মোদী বা অমিত শাহ জনসভায় যাবেন বলেও না গেলে কেমন লাগবে তাঁদের? তখন বিজেপি নেতারা ভেবেছিলেন, 'ডোজ' বেশ কড়া। 'রোগ' সেরে যাবে। কিন্তু তাতে যে কোনও প্রভাবই পড়েনি, শীতকালীন অধিবেশনে শুরু হতেই তা টের পান বিজেপি নেতারা।
কিন্তু এখন ফের নতুন করে 'ক্লাস' নেওয়া হল কেন?
বিজেপি সূত্রে খবর, শীতকালীন অধিবেশনেই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাশ করাতে বদ্ধপরিকর সরকার। লোকসভায় বিলটি যখন উত্থাপন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তখন বিরোধীরা তুমুল হই-হট্টগোল করবে বলেই অনুমান বিজেপির। তাই বেশিরভাগ বিজেপি সাংসদদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলও যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিলের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা দলের সাংসদদের মনে করিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, "আগামী কয়েকদিনে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ উত্থাপন করা হবে। সেই সময় আপনাদের শুধু লোকসভায় উপস্থিত থাকতে হবে।"