রবিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসতে চলেছে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে আবার অনেক নেতারাই উপস্থিত থাকবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এখানে আগামী ফেব্রুয়ারি–মার্চ মাসে যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে সেই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
এখানে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চারটিতেই বিজেপি সরকার রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, গোয়া এবং মণিপুর। শুধুমাত্র পাঞ্জাবে রয়েছে কংগ্রেস সরকার। এই চার রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখা এখন একটা চ্যালেঞ্জ। তবে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশেও বিজেপি সরকার। সেখানে উপনির্বাচনে ধাক্কা খেতে হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। ২০২৪ সালে কেন্দ্রে শাসনক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে রাজ্যগুলিতে ফল ভাল করতেই হবে।
সেখানে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, তিন লোকসভা কেন্দ্রে ভোট ছিল। আর ২৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ছিল। সেখানে একটি লোকসভা কেন্দ্র জিততে পেরেছে বিজেপি। আর উপনির্বাচনে বিজেপির ফল সর্বত্র খারাপ হয়েছে অসম ছাড়া। সুতরাং কেন এই ফলাফল হল তা খতিয়ে দেখতেই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে খাপ খুলতে পারেনি বিজেপি। একুশের নির্বাচন থেকেই এখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে তারা। এমনকী জেপি নড্ডার রাজ্য কর্ণাটকেও ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।
এই পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে গেরুয়া শিবিরকে। জেপি নড্ডা এই বৈঠকে স্বাগত ভাষণ দেবেন। সেটাই শুরু। তারপর থেকে চলবে চুলচেরা বিশ্লেষণ। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে পরবর্তী রণনীতি পর্যন্ত ঠিক হয়ে যাবে। কোন কোন বিষয় প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে হবে তাও এখান থেকে বলে দেওয়া হবে। তবে তার মধ্যে অবশ্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ১০০ কোটি ছাড়িয়ে এগিয়ে চলেছে তা তুলে ধরা হবে।