এর আগে রাহুল গান্ধীর 'আমি সাভারকর নই' মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন কংগ্রেসের জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরে। আর গতকাল এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদানি ইস্যুতে কংগ্রেসের উলটো সুর শোনা গেল শরদ পাওয়ারের গলায়। এই আবহে এবার কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়ল না বিজেপি। বিজেপি বলে, 'রাহুল গান্ধী বিভ্রান্তিকর সব দাবি একে একে খারিজ করছে কংগ্রেসেরই শরিক দলগুলি।' এই বিষয়ে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, 'এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার কংগ্রেসকে বাসের নীচে ফেলে দিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আদানি ইস্যুতে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি ঘোষণা করার পরে বলেছে, জেপিসির দাবি অপ্রাসঙ্গিক। কংগ্রেসের শরিক দলগুলিও রাহুল গান্ধীর বিভ্রান্তিকর ধারণাগুলিকে একের পর এক প্রত্যাখ্যান করেছে... এর আগে উদ্ধব গোষ্ঠী সাভারকরের উপর আঘাতের নিন্দা জানিয়েছিল।' (আরও পড়ুন: ঢুকছে বাতাস, ৪০ ডিগ্রি ছুঁবে পারদ, এর মধ্যে বাংলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আছে কি?)
এদিকে আদানি নিয়ে শরদ পাওয়ারের বিস্ফোরক মতামতের পরই মনে করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে বড়বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন অজিত পাওয়ার নিজের দুই দিনের কর্মসূচি বাতিল করেছেন। যার জেরে জল্পনা আরও বেড়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল শরদ পাওয়ার এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মাধ্যমে আদানিকে টার্গেট করা হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। এই নিয়ে কংগ্রেসের দাবি, তাদের সহযোগী এনসিপির আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকতেই পারে। কিন্তু ১৯টি রাজনৈতিক দল মনে করে আদানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সারবত্তা রয়েছে। তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ডিএ ধরনা নিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের শর্ত, আজই রওনা দেবেন সরকারি কর্মীরা
আদানি বিষয়ে শরদ পাওয়ার বলেন, 'আমি মনে করি হিন্ডেলবার্গ রিপোর্টে আদানিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওদের টার্গেট করা হয়েছে। আমার মনে হয় না জেপিসির কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে তো নয়ই। কংগ্রেস কী কারণে জেপিসি চাইছে, আমার কাছে তা স্পষ্ট নয়। শুধু এটুকু জানি, জেপিসি হলে কোনও দিনই সত্যিটা জানা যাবে না, শুধু মাসের পর মাস সময় চলে যাবে। হয়তো কংগ্রেস বিষয়টাকে জিইয়ে রাখতে চায়। আর আমি মনে করি আদানি প্রসঙ্গকে প্রয়োজনের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হিন্ডেলবার্গের নাম ক'জন জানত? তাদের রিপোর্টে হইচই পড়ে গেল, অথচ তা যে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত করল, আমাদের দেশের ক্ষতি হল, সেই বিষয়ে কেউ ভাবছে না।'
এরপর শরদ পাওয়ার বলেন, 'এই দেশে বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। আমরা যখন রাজনীতিতে এসেছিলাম, তখন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই টাটা-বিড়লা করে চিৎকার করা হত। এখন সেটা আদানি ও আম্বনিকে নিয়ে করা হয়। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে, তা হলে নিশ্চয়ই ১০০ শতাংশ সমালোচনা করা উচিত। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া আক্রমণের অর্থ কী, আমি বুঝতে পারি না।'