২০২২ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে উত্তরপ্রদেশের বুকে রাজনৈতিক প্রচার পারদ তুঙ্গে থাকার মাঝেই ওমিক্রনের দানবীয় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এরপরই কংগ্রেস জানিয়েছে, আপাতত রাজ্যজুড়ে তাদের মহিলা ম্যারাথন বন্ধ থাকছে, বন্ধ রাখা হচ্ছে সভা সমিতিও। একই পথে হেঁটে নয়ডায় যোগী আদিত্যনাথের সভা বাতিল করেছে বিজেপিও। এদিকে, ভোটমুখী গোয়াতেও ছবিটা একই দিকে যাচ্ছে। সেখানে সমস্ত বড় সভা বাতিল করেছে বিজেপি। কংগ্রেসও নিজেদের বড়সড় সমারোহ আয়োজনে বিধিনিষেধ আরোপ করছে।
ওমিক্রন ত্রাসে ত্রস্ত গোটা দেশ। এরই মাঝে, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে একাধিক রাজ্যে। গোয়াতে আপাতত সমস্ত বড় সভা বাতিল করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির জানিয়েছে, আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যাবতীয় বড় সভা সমিতি তারা বাতিল রাখছে গোয়ায়। তবে এই পরিস্থিতিতে নিজেদের প্রচার স্ট্র্যাটেজিতে কয়েকটি বদল এনেছে গেরুয়া শিবির। গোয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সদানন্দ শেঠ তানাভাড়ে জানিয়েছেন, বড় সভাসমিতিতে জমায়েতের থেকে তাঁরা আপাতত ছোট জমায়েতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। এছাড়াও কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে বেশি ফোকাস করতে চলেছেন। ফলে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে বিজেপি কার্যত নিজের প্রচার স্ট্র্যাটেজিতে রদবদল এনে পারদ তুঙ্গে রাখার চেষ্টায় রয়েছে। সদানন্দ শেঠ তানাভাড়ে বলছেন, 'বাড়ি গিয়ে প্রচার ও বিশেষ সংযোগ কর্মসূচি স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।' ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে এর আগে বিজেপি প্রতিদিন দুটি বড় সভার পরিকল্পনা করেছিল। আগামী দুই সপ্তাহে তাদের একাধিক কর্মসূচিও ছিল। তবে সেই কর্মসূচিতে খানিকটা রদবদল এনেছে দল।
এদিকে, কংগ্রেসের তরফে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা 'হাত' শিবিরের নেতা দিগম্বর কামাত জানিয়েছেন, বড় সভাগুলিতে তাঁরা বিধি আরোপ করছেন। তিনি বলেন, তৃতীয় স্রোতকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা প্রয়োজন। 'মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। কেস বাড়ছে, বাড়ছে পজিটিভিটি রেট, যা আগে দুই-তিন শতাংশ ছিল এখন তা ২৭ শতাংশ। নির্বাচনের বড় জমায়েতে বিধি নিষেধ প্রয়োজন।' উল্লেখ্য, ভোট মরশুমে গোয়াতে কংগ্রেসের হয়ে ঝড় তোলার কথা ছিল কানহাইয়া কুমারের। তবে সেখানে বাড়বাড়ন্ত কোভিডের জেরে আপাতত বড় জনসভায় বিধি আরোপের পথে হাঁটছে কংগ্রেস।