নামোল্লেখ না করে বাংলায় বিজেপি সদস্যদের প্রতি তৃণমূল সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় শাসকদলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা।
সোমবার একাধিক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক দিনে দেখা গিয়েছে যে, বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারের করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত কাজ নিয়ে বিজেপি কর্মী এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাধীনচেতা কণ্ঠস্বর রোধ করতে অনৈতিক ভাবে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করা হচ্ছে। গণতন্ত্রে এমন আচরণ অনভিপ্রেত।’
নড্ডা নাম না করলেও গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, রাজ্যের বাইরে বিচ্ছিন্ন বেরোজগেরে শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে বিশেষ ট্রেনগুলিকে বাংলায় প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের এই আচরণ শ্রমিকদের প্রতি ‘অবিচার’ বলে জানান শাহ।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা ত্রাণকাজে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের করোনা আক্রান্ত এবং মৃতদের সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপি।
করোনা নিয়ে ভুয়ো সতর্কবার্তা প্রচারের অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকেও গৃহবন্দি রেখেছে জেলা প্রশাসন।
বিশেষ কোনও জেলার নাম না লিখলেও বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে নড্ডা বার্তা দিয়েছেন, ‘নিজেদের প্রশাসনিক গাফিলতি ফাঁস করে দেওয়ার জন্য যে সমস্ত বিজেপি কর্মীকে নিশানা করা হচ্ছে তাঁদের জানাই যে, আপনাদের পাশে রয়েছে দল। আপনাদের বাকস্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং গণতান্তচ্রিক পরিকাঠামোয় অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে বিজেপি বদ্ধপরিকর।’