প্রত্যাশিতই ছিল। সেইমতো রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফের গ্রেফতারির পর শুরু হল রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতারা সেই গ্রেফতারির মধ্যে জরুরি অবস্থার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। আবার শিবসেনার সাফা, আইন মোতাবেক যাবতীয় কাজ হয়েছে। কে কী বলেছেন, দেখে নিন একনজরে -
অমিত শাহ : কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি আবারও গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক কাজ করেছে। রিপাবলিক টিভি এবং অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে রাজ্যের ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর আঘাত করা হয়েছে। এটা আমাদের জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের উপর এই আক্রমণের বিরোধিতা অবশ্যই করতে হবে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, 'যে ব্যক্তি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, তিনি মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে অর্ণব গোস্বামীর হেনস্থার ঘটনায় ক্ষুব্ধ। যাঁরা একমত হবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর নির্দেশিত পদক্ষেপের আরও একটি নিদর্শন এটি।'
এস জয়শংকর : জরুরি অবস্থার ছায়া। অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারি হল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। যাঁরা এই স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, তাঁদের অবশ্যই মুখ খোলা উচিত।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর : মহারাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর আক্রমণের নিন্দা করছি আমরা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ব্যবহারের এটা উপায় নয়। এটায় আমাদের জরুরি অবস্থার কথা মনে পড়ছে, যখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এভাবে ব্যবহার করা হত।
সঞ্জয় রাউত : যে ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন, তা আইন মোতাবেক নেওয়া হয়েছে। আমরা যদি কিছু ভুল করি, তাহলে আমাদের জন্যও আইন একই থাকবে। মু্ম্বই ও মহারাষ্ট্র কখনও কারোর সঙ্গে অবিচার করেনি বা বিদ্বেষপূর্ণ ব্যবহার করেনি। যদি কেউ অপরাধ করেন এবং উপযুক্ত প্রমাণ থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়, তাহলে সরকার বা নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মোটেও কোনও যোগাযোগ নেই।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ : কেউ আইনের উর্ধ্বে নন। আইন মোতাবেক চলবে মহারাষ্ট্র পুলিশ।