বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Tripura Biplab Deb: রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন বিপ্লব দেব, খবর পেয়েই করলেন টুইট

Tripura Biplab Deb: রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন বিপ্লব দেব, খবর পেয়েই করলেন টুইট

বিপ্লব দেব।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজ্যসভার পদ ছেড়ে এই পদ পেয়েছিলেন। সুতরাং একটা শূন্যস্থান ছিলই। কয়েকদিন দেখে নেওয়া হল বিপ্লব দেবের পার্টির প্রতি আনুগত্য। তারপর তাঁকে সেই শূন্য আসনে নিয়ে আশা হল। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে। 

তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কিছু কম নেই। বরং বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাঁকে নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে বিজেপি। হ্যাঁ, সেই রাজ্যের নাম ত্রিপুরা। আর রাজ্যসভার প্রার্থীর নাম বিপ্লব দেব। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল মনে। বিপ্লব দেবকে সম্প্রতি বিজেপির হরিয়ানা রাজ্যের ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার ঘোষণা করা হয় যে, রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে। এভাবেই তাঁর মনের ক্ষোভ প্রশমন করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।

কী হয়েছিল বিপ্লব দেবের?‌ ত্রিপুরায় ২৫ বছর বামফ্রন্টের শাসন ছিল। সেখানে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় গেরুয়া ঝড় তুলেছিলেন বিপ্লব দেব। বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। যার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব দেব। ২০১৮ সালের ৯ মার্চ তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। তবে মেয়াদ পূরণের আগেই গদি ছাড়তে হয়েছিল। তখন তাঁকে নিয়ে ঘরে–বাইরে প্রবল বিতর্ক। ২০২২ সালের ১৪ মে তাঁকে খোয়াতে হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ। এখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

কী প্রতিক্রিয়া বিপ্লব দেবের?‌ এই খবর তাঁর কাছে পৌঁছতেই তিনি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহজি, জেপি নাড্ডাজি এবং গোটা বিজেপিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমায় ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করার জন্য। আমি ত্রিপুরা এবং রাজ্যের মানুষদের উন্নয়ন ও কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।’‌ সুতরাং মনের ক্ষোভ প্রশমন হয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে বিপ্লব দেবের টুইট বার্তায়।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজ্যসভার পদ ছেড়ে এই পদ পেয়েছিলেন। সুতরাং একটা শূন্যস্থান ছিলই। কয়েকদিন দেখে নেওয়া হল বিপ্লব দেবের পার্টির প্রতি আনুগত্য। তারপর তাঁকে সেই শূন্য আসনে নিয়ে আশা হল। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার উপনির্বাচন। আর ২০২৩ সালে রয়েছে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে বিজেপি দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলে রাখতে চেষ্টা করছে। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় নিজেদের জায়গা তৈরি করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

বন্ধ করুন