মহিলাদের সন্তান ধারণের বয়স নিয়ে মন্তব্য করার জন্য মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং ভার্মার নিঃশর্ত ক্ষমা স্বীকারের দাবি জানাল বিজেপি।
মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘১৫ বছর বয়স পেরোলেই মেয়েরা সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হন। উনি কি অনেক বড় চিকিৎসক হয়ে গেলেন?’
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। রাজ্যে দলের মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়াল বলেছেন, ‘সমাজে নারীর প্রতি কংগ্রেস নেতাদের মনোভাব এর থেকে স্পষ্ট হল। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বিবৃতি যেখানে মহিলাদের পুরুষের সমান মর্যাদা দিয়ে তাঁদের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে বলছে, সেখানে কংগ্রেস নেতা তাঁদের সন্তান ধারণের বয়স নিয়ে মন্তব্য করছেন।’
আগরওয়াল বলেন, ‘কংগ্রেস নেতারা যখন মহিলাদের মর্যাদাহানি করছেন, তখন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ ব্যাপারে চুপ করে আছেন, যদিও কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী নিজেও মহিলা। গত নভেম্বর মাসে উপনির্বাচনের সময়ও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি এক মহিলা বিজেপি প্রার্থীকে আইটেম বলে সম্বোধন করেছিলেন। ওই মন্তব্য নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত আপত্তিকর মনে করে এবং একদিনের জন্য তাঁর নির্বাচনী প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে রাজ্যের অন্য এক কার্যনির্বাহী সভাপতি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন নামক ছেলে জন্মানোর আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জন্ম নিল পাঁচ মেয়ে- নোটবন্দি, জিএসটি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক মন্দা।’
অন্য দিকে রাজ্য কংগ্রেস ভার্মার সমর্থনে জানিয়েছে, তিনি চিকিৎসকদের দৃষ্টিকোণ থেকে ওই মন্তব্য করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোপালের এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, পুরুষের সমান মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স করা যায় কি না, তা নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে।