বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > BJP slams Kejriwal on 2000 Note Ban: ২০০০-এর নোট বাতিলে 'অশিক্ষিত PM' তোপ, জবাবে কেজরিকে 'মিথ্যার সওদাগর' আখ্যা BJP-র

BJP slams Kejriwal on 2000 Note Ban: ২০০০-এর নোট বাতিলে 'অশিক্ষিত PM' তোপ, জবাবে কেজরিকে 'মিথ্যার সওদাগর' আখ্যা BJP-র

অরবিন্দ কেজরিওয়াল (PTI)

গতকালই আরবিআই-এর তরফে ২০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের 'অশিক্ষিত' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।

গতকালই আরবিআই-এর তরফে ২০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের 'অশিক্ষিত' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। আর এবার সেই তোপের জবাবে কেজরিকে 'মিথ্যার সওদাগর' আখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান। এর আগে নোট বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরই অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে লেখেন, 'এর জন্যই বলি যে আমাদের একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত'। এই টুইটের জবাবে কবীরের একটি কবিতা উদ্ধৃত করে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'শিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী আবারও মিথ্যা বিক্রির চেষ্টা শুরু করলেন'।

ধর্মেন্দ্র প্রধান অভিযোগ করেন, যে দুর্নীতিগ্রস্তরা কাচের মহলে থাকেন, তাদের এই ধরনের সিদ্ধান্তে সমস্যা হবেই। উল্লেখ্য, আম আদমি পার্টির দুই হেভিওয়েট নেতা - মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন জেলে রয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন মেরামতির খরচ নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। এই আবহে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'মনে হচ্ছে আবগারি দুর্নীতির মধ্যমণির সব কঠোর পরিশ্রম জলে যেতে চলেছে।'

এর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, ঠিক রাত ৮টার সময় নোটবাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক মিনিটেই গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল সেই সময়ের ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট। বলা হয়েছিল, ভুয়ো টাকা এবং কালো টাকার রমরমা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। পরবর্তীতে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল। গতকাল রাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একটি নির্দেশিকা জারি করে নতুন ২০০০ টাকার নোট ফেরানোর ঘোষণা করে। তবে ২০১৬ সালের মতো এবার তাড়াহুড়ো লাগবে না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় মিলবে ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়ার বা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য।

দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের মতে, এই পদক্ষেপে দেশের মাত্র ১১ শতাংশ অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এখনই অবৈধ ঘোষণা করা হচ্ছে না ২০০০ টাকার নোটকে। আপাতত এই নোটগুলি বৈধতা থাকবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২৩ মে থেকে শুরু করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নোট বদল করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। প্রায় ৭ বছর আগে ছাপানো শুরু হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। তবে এই নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা আগের থেকেই ছিল আরবিআই-এর। এর জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকবার গুজবও রটেছে যে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছে। তবে এবার আরবিআই এই ২০০০ টাকার নোটের 'ব্যাঙ্ক ওয়াপসি'র ঘোষণা করল। তবে আগেরবারের মতো এই 'নোটবন্দি' আচমকা হচ্ছে না। তাই সাধারণ মানুষের তত কষ্ট হবে না বলেই আশা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের হাতে এখন সেই অর্থে তত সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট নেই। এমনি বাজারে ২০০০ টাকার নোট প্রায় দেখাই যায় না আর। বর্তমানে বাজারে প্রচলিত টাকার মধ্যে মাত্র ১০.৮ শতাংশ মূল্যের নোট হল ২০০০ টকার। লেনদেনের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকার নোটের চাহিদা কম। এটি বন্ধ হলে লেনদেনে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে আরবিআই-এর এই পদক্ষেপকে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য হাতিয়ার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বন্ধ করুন