বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বহু সাংসদের উপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু তিরাঙ্গা বাইক র্যালির সূচনা করলেন। সবুজ পতাকা প্রদর্শন করে এই ব়্যালির সূচনা করেন উপরাষ্ট্রপতি। লাল কেল্লা থেকে বিজয় চক পর্যন্ত এই ব়্যালি চলে। 'হর ঘর তিরঙ্গা' উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই র্যালির উদ্দেশ্য। এই ব়্যালি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আজ একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা ঐতিহাসিক লাল কেল্লা থেকে যাত্রা শুরু করি এবং বেশ কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ এবং যুব নেতারা একত্রিত হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।’ এদিকে এই ব়্যালিতে বিরোধী সাংসদরা অংশ না নেওয়ায় তোপ দেগেছে শাসকদল।
বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা টুইটে লেখেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রক আজ সকালে সমস্ত দলের সাংসদের জন্য লাল কেল্লা থেকে সংসদ পর্যন্ত একটি 'তিরাঙ্গা বাইক র্যালি'র আয়োজন করেছিল। শুধুমাত্র বিজেপি-এনডিএ সাংসদরা সেই ব়্যালিতে অংশ নেন। মিডিয়ার মতে- কংগ্রেস/টিএমসি/এএপি/এসপি নিখোঁজ? তিরাঙ্গা কি কোনও দল বা জাতির? রাষ্ট্রপতি থেকে তিরঙ্গা পর্যন্ত এমন আপমান কেন?’
এর আগে গতকাল ভারতের জাতীয় পতাকার স্রষ্টা পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াকে সম্মান জানাতে 'তিরাঙ্গা উৎসব'-এ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক নায়ক ছিলেন, যাদের মানুষ ভুলে গিয়েছে। এই আজাদী কা অমৃত মহোৎসব-এ এই ধরনের সমস্ত অজ্ঞাত নায়কদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হবে।’ এদিকে স্বাধীনতা দিবসের আগে গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইল পিকচার বদল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের ছবির বদলে তিনি জাতীয় পতাকার ছবি লাগিয়েছেন প্রোফাইল পিকচারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং শাসকদলের সভাপতি জে পি নড্ডা সহ অন্যান্য সিনিয়র বিজেপি নেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে তাঁদের ডিসপ্লে ছবি পরিবর্তন করে জাতীয় পতাকা লাগিয়েছেন। অনেক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও এই একই কাজ করেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইরা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলে ফেলেন গতকাল সকালেই।