একদিন আগেই বলিউডে মুসলিমদের অবদান নিয়ে বড় দাবি করেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। বলেছিলেন, ‘বলিউডে মুসলিমরাই সবথেকে বেশি অবদান রেখেছিলেন।’ এবার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শরদকে পালটা তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা। তাঁর প্রশ্ন, ‘তাহলে দাদাসাহেব ফালকে, কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, স্মিতা পাতিল, মাধুরী দীক্ষিতরা কিছু করেননি?’
এর আগে এনসিপি প্রধান বলেছিলেন, ‘আমরা যদি শিল্প, কবিতা এবং লেখালেখির বিষয়ে কথা বলি তাহলে দেখব সংখ্যালঘুরাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখার ক্ষমতা রাখেন। বলিউডে সবচেয়ে বেশি অবদান কাদের? সংখ্যালঘু মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন। আমরা এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করতে পারি না।’
এর জবাবে আজকে শেহজাদ পুনাওয়ালা টুইট করে লেখেন, ‘জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না তবে শিল্প এবং সিনেমার ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখেন তাদের ধর্ম হয় পাওয়ার সাহেব? তাহলে দাদাসাহেব ফালকে, কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, স্মিতা পাতিল, মাধুরী দীক্ষিতরা কিছু করেননি? ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য শিল্প এবং সিনেমাকে কেন বিভিক্ত করছেন। সবার অবদানকেই সম্মান জানান।’ এরপর পুনাওয়ালা আরও লেখেন, ‘তবে যে দলের মন্ত্রী নবাব মালিক ডি কোম্পানির সঙ্গে যোগ থাকায় এখন জেলে, সেই দল থেকে আর কী আশা করতে পারি আমরা? প্রথমে তারা দেশকে হিন্দু মুসলিমে ভাগ করে। এরপর তারা ক্লাসরুমকে ভাগ করে। রাজস্থানে তারা বিদ্যুৎ সংযোগও পৃথক করে। আর এখনও তারা শিল্প এবং সিনেমাকে আলাদা করছে। বিষয়টি খুবই দুঃখের।’
এদিকে এই বিতর্কে নিজের ‘যুক্তিশেল’ নিক্ষেপ করেন বিজেপি মুখপাত্র রাম কদমও। তিনি শরদ পাওয়ারের বক্তৃতার ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘শরদ পাওয়ার সাহেব বলছেন, বলিউডে সবচেয়ে বড় অবদান শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধর্মের লোকেদের... দাদাসাহেব ফালকে, অমিতাভ বচ্চন, রাজেশখান্না, কিশোর কুমার, লতাদিদি ... তাঁরা বলিউডেই নিজেদের সারা জীবন কাটিয়েছেন। পাওয়ার সাহেব কীভাবে তাঁদের অবদান অস্বীকার করবেন?’ রাম কদম আরও লেখেন, ‘বলিউডে শুরু হয়েছে... তারা কি নির্বাচন, রাজনীতির দোহাই দিয়ে সমাজ ও ধর্মের নামে শিল্প বা প্রতিভাকে বিভাজিত করতে চাইছে? এই ভাবনার পিছনে কী ষড়যন্ত্র আছে?’