পদ্মে সুদীপ রায় বর্মণ কাঁটা হয়ে উঠতেই হামলার রাস্তা নিল বিজেপি বলে অভিযোগ। আজ, রবিবার ত্রিপুরা উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, চারটি আসনের মধ্যে তিনটি গেরুয়া শিবির জিতলেও আগরতলায় নিজের আসন ধরে রেখেছেন সুদীপ। বিজেপিকে হারিয়ে তিনি সরাসরি জবাব দিয়েছেন। যা মেনে নিতে পারেনি বিজেপি। তাই হামলা নামিয়ে আনা হল।
ঠিক কী ঘটেছে আগরতলায়? উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসতেই হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয় ত্রিপুরায়। আগরতলায় কংগ্রেসের অফিসে ব্যাপক হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সুদীপ রায় বর্মণ জিততেই এমন আক্রমণ নামিয়ে আনা হল যে, রক্তাক্ত হলেন প্রদেশ সভাপতি বীরজিৎ সিং। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল।
কেমন আক্রমণ করল বিজেপি? প্রথমে আগরতলা আসনে জয়লাভ করার জন্য কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণকে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তারপরই সেখানে অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে। অভিযোগ, আগরতলায় কংগ্রেসের সদর অফিসে কিছু লোকজন ঢুকে পড়ে। সেখানে ব্যাপক হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হয় পার্টি অফিসের আসবাবপত্র। উপস্থিত নেতাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এমনকী লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। মারধর করা হয় ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেও। মাথা ফাটে তাঁর। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভায় বিদ্রোহ করে বিজেপি ছেড়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। নির্বাচনের সময় তাঁর উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছিল। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এবার সেখানে ভোটে বিজেপিকে গোহারা করে দেন আগরতলায়। প্রেস্টিজ ফাইটে সুদীপ জিতে যাওযার পরই শুরু হয়েছে হামলা–হিংসা।