গত ১১ অক্টোবর একটি নোটিশ জারি করে বিএসএফ-এর ক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর ফলে পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ আর অসমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৫০ কিমি পর্যন্ত অঞ্চলে তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত আর গ্রেফতার করতে পারবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই ক্ষমতার পরিসর ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনুপ্রবেশ, চেরাচালানের পাশাপাশি অন্যান্য দেশবিরোধী কার্যকলাপ কমবে। দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। এতে অসম, পঞ্জাব ও বাংলা উপকৃত হবে। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে একটা সংঘাত হতে পারে। কিন্তু আমি চাইব, বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশ একসঙ্গে কাজ করুক।
এদিকে সিপিএম কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, বিএসএফ-এর পরিসর বাড়ানোর কেন্দ্রীয় ঘোষণা রাজ্যের ক্ষমতার উপরে হস্তক্ষেপ। আগে যেখানে বিএসএফের ক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সীমিত ছিল, সেখানে তা ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এতে রাজ্যগুলির যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা খর্ব হবে। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রে। পুলিশি ব্যবস্থা রাজ্যে এক্তিয়ারভূক্ত। কেন্দ্রে সিদ্ধান্তের ফলে তা ব্যাহত হবে।
এর আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে টুইটে লিখেছিলেন, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যেভাবে বিএসএফের কর্মক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিমির বদলে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করল, তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। যথাযথভাবে বক্তব্য জানানো হবে।'