বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > রেমডেসিভির নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই, মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংঘাতে BJP

রেমডেসিভির নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই, মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংঘাতে BJP

রেমডেসিভির নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে (REUTERS)

রেমডেসিভির প্রস্তুকারক এক সংস্থার ডিরেক্টরকে মুম্বই পুলিশের তলব ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

করোনা বাড়বাড়ন্তে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে গতকালই রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের দাম কমায় দেশের সাতটি প্রধান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। তবে তারপরও রেমডেসিভির নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই। দেশে রেমডিসিভির বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন অনসিপি নেতা নবাব মালিক। যদিও তাঁর সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। আর এদিন মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে রেমডেসিভির ইস্যুতে রাস্তায় নামল বিজেপি।

বর্তমানে দেশের বাইরে রেমডেসিভির রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে দমনে স্থিত ব্রুক ফার্মা নামক এক সংস্থা নাকি রেমডেসিভিরের ৬০ হাজার ভায়াল বিদেশে রফতানি করতে চাইছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন সেই সংস্থার ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠায় মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে থানার পুলিশ। আর এর প্রতিবাদেই মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে বিজেপি। এদিকে বিজেপির এই প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন জোটের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, বিজেপি শুধুমাত্র শিল্পপতিদের কথা ভাবে, সাধারণ মানুষের নয়।

এদিকে অভিযুক্ত সংস্থার ডিরেক্টরকে মুম্বই পুলিশ আটক করেছে বলে জানা যায়। যারপর বিরোধিতার ঝাঁঝ আরও বাড়ায় বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, 'আমরা পুলিশ থানায় গিয়েছি এবং ডিসিপির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছি যে আটক আধিকারিকের দোষটা কী? দমন এবং মহারাষ্ট্র প্রশাসনের থেকে সব রকমের অনুমতি নিয়েই তিনি কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজে তাঁকে অনুরোধ করেছেন যাতে তিনি মহারাষ্ট্রে যত বেশি সম্ভব রেমডেসিভির সরবরাহ করেন। তা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকার নোংরা রাজনীতি করতে ব্যস্ত। এটা লজ্জাজনক।'

এদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে পাল্টা তোপ দেগেছে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র সচিন সাওয়ান্ত টুইট করে লেখেন, 'এটা অবাক করে দেওয়া ঘটনা যে বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুম্বই পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করে একজন ব্যবসায়ীর হয়ে তাবেদারি করছে। মুম্বই পুলিশের দোষটা কোথায়? তাদের কাছে তথ্য ছিল যে ৬০ হাজার ভায়াল রেমডিসিভির বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সেগুলি ব্রুক লুকিয়ে রেখেছে।'

এদিকে শনিবার রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের উৎপাদন আর সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দাম কমানো নিয়ে এই ইঞ্জেকশন উৎপাদনকারী আর অংশীদারি সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সাতটি প্রধান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইঞ্জেকশনের দাম কমায়। তবে রাজনৈতিক কারণে এখনও এই ইস্যুতে বিতর্ক থামছে না। 

 

বন্ধ করুন