এবারের উপনির্বাচনে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে ভালো ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু জোর ধাক্কা খেয়েছে হিমাচল প্রদেশে। তিনটি আসনের মধ্যে একটিতেও জিততে পারেনি বিজেপি। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি,কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের পারফরম্য়ান্স কিংবা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছায়া ভোটের ফলাফলে পড়েছে এমনটা নয়। অসমে পাঁচটি আসনই দখল করেছে বিজেপি ও তার সহযোগী শক্তি। কিন্ত আশাহত অবস্থা হিমাচল প্রদেশে। এদিকে সেই হিমাচল প্রদেশেই ২০২২ সালে বিধানসভা ভোটে হবে। সেখানকার ফলাফল বিজেপির কাছে নিঃসন্দেহে অশনি সংকেত।
এদিকে হিমাচলের এই পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এক বিজেপি নেতার দাবি, জয়রাম ঠাকুরের সরকার হিমাচলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কমাতে পারেনি। টিকিট বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্বও মেটানো যায়নি। যার প্রতিফলন হয়েছে ভোটের ফলাফলে। এদিকে দিল্লির এক বিজেপি নেতা বলেন, একটা ধারণা তৈরি হচ্ছে যে সরকার দ্রব্য়মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কোনও নজর দিচ্ছে না। এর সুফল পাচ্ছে কংগ্রেস।
তবে অপর এক বিজেপি নেতার দাবি, যে রাজ্য়ে মুখ্যমন্ত্রী শক্তিশালী সেই রাজ্য়ে আসন নিজেদের অনুকূলে আনা সম্ভব হয়েছে। যেমন অসম আর মধ্যপ্রদেশের কথাই বলা যায়। মধ্য়প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে তো কম কলকাঠি নাড়া হয়নি, কিন্তু তবু তিনি সিট বের করে এনেছেন। মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুরলীধর রাও বলেন, নরেন্দ্র মোদী ও চৌহানের কৃতিত্বেই এই জয় এসেছে। রাজস্থানে ভালো ফল না হওয়া প্রসঙ্গে নেতৃত্বের দাবি, স্থানীয় নেতৃত্ব লড়াইয়ের মানসিকতা হারিয়েছে। এখানে দুটি আসন কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ধারিওয়ার আসনটি আগে বিজেপির ছিল। বাংলাতেও জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।