দুর্গাপুজোর পরই ত্রিপুরায় পা রাখার কথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে অভিষেকের পদযাত্রা আটকানো হয়েছিল। তবে দুর্গাপুজো শেষে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। মঙ্গলবার রাতে আবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পশ্চিম ত্রিপুরার খয়েরপুরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী দুলাল দাসকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
ঠিক কী ঘটেছে বিপ্লব দেবের রাজ্যে? জানা গিয়েছে, পশ্চিম ত্রিপুরার খয়েরপুরের বনিক্কা চৌমহনিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের কাজ করেন দুলাল দাস। প্রায়ই মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন তিনি। এই খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে তার দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুলাল দাস বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি দোকান বন্ধ করব এমন সময় কিছু বিজেপি কর্মী আমার দোকানের সামনে আসে। আর আমায় মারধর করতে থাকে। দোকান ভাঙচুর করে। আর হুমকি দেয় আমি যেন তৃণমূল কংগ্রেস না করি।’
এখানে শুরু থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ করা হয়। স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। যুবনেতা–নেত্রীদের উপরও আক্রমণ হয়েছিল। এবার খোয়াই জেলার জাম্বুরা গ্রামে আর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সুশীল মোদক এবং তার পরিবারের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। সুশীল মোদক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই বিষয়ে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক বলেন, ‘বিজেপি বিরোধী কর্মীদের উপর হামলা করছে। ১০ জনেরও বেশি বিধায়ক, পুলিশ অফিসার, বিডিওরাও গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। থানাগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নিতে অস্বীকার করছে। তবে সময় পাল্টাবে শীঘ্রই।’