বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > BJP's Loss in Karnataka: মোদী নয়, কর্ণাটকে ফ্যাক্টর ইয়েদুরাপ্পা? হারের দায় কার? আত্মসমীক্ষা শুরু বিজেপির

BJP's Loss in Karnataka: মোদী নয়, কর্ণাটকে ফ্যাক্টর ইয়েদুরাপ্পা? হারের দায় কার? আত্মসমীক্ষা শুরু বিজেপির

নরেন্দ্র মোদী এবং বিএস ইয়েদুরাপ্পা (ANI/PIB)

এমনিতে কর্ণাটকের রীতি অনুযায়ী বিগত তিন দশকে কোনও এক দল পরপর দু'বার সরকার গঠন করতে পারেনি। তবে ১৯৯৯ সালের পর থেকে কোনও দল এই রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি। তবে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া এতটাই তীব্র ছিল যে হাত শিবিরের কাছে উড়ে যায় তারা।

মোদী ম্যাজিক কী ম্লান হয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্নই তুলে দিয়েছে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। এই রাজ্যে বিজেপি যে শুধু হেরেছে তাই নয়, কংগ্রেসের সামনে তারা ধরাসায়ী। এমনিতে কর্ণাটকের রীতি অনুযায়ী বিগত তিন দশকে কোনও এক দল পরপর দু'বার সরকার গঠন করতে পারেনি। তবে ১৯৯৯ সালের পর থেকে কোনও দল এই রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি। তবে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া এতটাই তীব্র ছিল যে হাত শিবিরের কাছে উড়ে যায় তারা। তবে পদ্ম শিবিরকে জেতাতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন খোন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কর্ণাটকে পরপর বহু জনসভা করেছিলেন তিনি। কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর ম্যাজিকেও দক্ষিণী রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। এই আবহে আত্মসমীক্ষা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

এমিনেতই বিজেপি কোনও নির্বাচনে জিতলে তার সব কৃতিত্ব পান মোদী। তবে হারের ক্ষেত্রে দায় ঠেলা হয় রাজ্য নেতৃত্বের ঘাড়ে। কর্ণাটকের ক্ষেত্রেও কতকটা সেটাই হবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে বাস্তবিক দিক দিয়ে দেখতে গেলে এবার উত্তর কর্ণাটকে কংগ্রেস বিজেপিকে বহু পিছনে ফেলে দিয়েছে। এই অঞ্চল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় অধ্যুষিত এই অঞ্চলে অবশ্য ধরায়াসী গেরুয়া শিবির। এর জন্য বিএস ইয়েদুরাপ্পার অনুপস্থিতি একটা বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সাম্প্রতিককালে মহারাষ্ট্রের সঙ্গে বেলগাওঁ নিয়ে কর্ণাটক সরকারের বিবাদও বিজেপিকে চোট পৌঁছে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মারাঠা ভূমে বিজেপি-শিণ্ডে জোট সরকারের সঙ্গে জনসমক্ষে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন কর্ণাটকের বোম্মাই সরকারের মন্ত্রীরা।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই জানান, অনানুষ্ঠানিক ভাবে ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতারা হারের কারণ খুঁজে বের করতে আলোচনা করেছেন। এদিকে এই হারের কারণ খতিয়ে বের করতে এই সপ্তাহেই দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে কর্ণাটকের বিরোধী দলনেতা বাছাইয়ের কাজও বাকি রয়েছে এখনও। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নলীন কুমার কাতিলকে সরানো হতে পারে বলে আভাস মিলেছে বিজেপির অন্দর থেকে। উল্লেখ্য, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হারের পর দিলীপ ঘোষকে সরানো হয়েছিল রাজ্য সভাপতির পদ থেকে। কারণ এখন বিজেপির পাখির চোখ হবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। এর আগে ২০১৭ সালে এই রাজ্যে ২৮টির মধ্যে ১৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৫-এ। তাছাড়াও বিজেপি সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থীও জয়ী হয়েছিলেন এই রাজ্যে। ২০২৪ সালে সেই ফল ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। এদিকে সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষও ঠিক ভাবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে মানুষের মনের কথা তুলে ধরতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে দলের অন্দরে।

এদিকে অনেকেই মনে করছেন যে ইয়েদুরাপ্পাতে সরিয়ে বাসবরাজ বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী করায় লিঙ্গায়েত ভোট চলে গিয়েছে বিজেপি থেকে। শিকারিপুরার বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র পাটিল হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'শিকারিপুরায় বিজেপি সব সম্প্রদায় থেকেই সমর্থন পেয়েছে (এই আসন থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিএস বিজয়েন্দ্র)। তবে ইয়েদুরাপ্পাকে সরানোর কারণে রাজ্যের অন্য জায়গার লিঙ্গায়েত ভোট বিজেপি থেকে সরে গিয়েছে অনেকটা।' এদিকে অপর এক কন্নড় বিজেপি নেতা বলেন, ‘জাতীয় ইস্যুতে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন লড়ে ভুল করেছে দল।’ তাঁর মতে, কর্ণাটকের স্থানীয় ইস্যু নিয়ে ময়দানে নামা উচিত ছিল দিল্লির নেতাদের।

 

বন্ধ করুন