২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যেতে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। সেই আমেঠি থেকেই ২০২৪ সালে ফের নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাগা। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার বহু আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল আমেঠির রাজনৈতিক পরিবেশ। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্দেশে ‘কুকথা’ বলে বসেন কংগ্রেস নেতা। যার জবাবে এবার সরাসরি রাহুলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন স্মৃতি ইরানি।
সম্প্রতি, অমেঠি প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অজয় রাই অভিযোগ করেছিলেন, ‘স্মৃতি ইরানি শুধু তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র পরিদর্শনে আসেন, লাটকে-ঝাটকে দিয়ে চলে যান।’ এহেন মন্তব্য ঘিরেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন স্মৃতি। সোমবার উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রে উত্তরপ্রদেশে হাত শিবিরের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অজয় রাই বলেছিলেন, ‘অমেঠি লোকসভা আসনটি গান্ধী পরিবারের। বেশ কয়েকবার রাহুল গান্ধী এই আসনে নির্বাচন লড়ে জিতেছেন। তাঁর আগে রাজীব গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধীও এই আসন থেকে ভোটে জিতেছেন। গান্ধীরা ওই এলাকার উন্নয়নে শিল্পাঞ্চল তৈরি করেছিল। এখন কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জগদীশপুর শিল্পাঞ্চলের অর্ধেক কারখানা বন্ধ রয়েছে।’ এরপর তিনি স্মৃতি ইরানিকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘স্মৃতি ইরানি শুধু আসেন, লাটকা-ঝাটকা দেখিয়ে চলে যান।’
এই আক্রমণের জবাবে এবার সরাসরি রাহুল গান্ধীর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন স্মৃতি। এক টুইট বার্তায় স্মৃতি লেখেন, ‘আপনার (রাহুল গান্ধী) আঞ্চলিক এক নেতার থেকে খুব খারাপ ভাষায় জানতে পারলাম যে ২০২৪ সালে আমেঠি থেকে ফের নির্বাচনে লড়তে চলেছেন আপনি। তাহলে কি আমি ধরে নিতে পারি যে আপনি নিশ্চিত ভাবেই আমেঠি থেকেই লড়বেন এবং অন্য কোনও আসনে পালিয়ে যাবেন না? আপনি ভয় পাবেন না? পুনঃশ্চ, আপনি এবং আপনার মাম্মিজির উচিত এই নারীবিদ্বেষী গুন্ডার জন্য নতুন স্পিচরাইটার নিয়োগ করা।’
এদিকে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র আনন্দ দুবে বলেন, ‘কংগ্রেস যে ভাষা ব্যবহার করেছে তা বরাবরই নারীবিরোধী। এটা কংগ্রেসের সংস্কৃতি ও মানসিকতা দেখায়। আর যে দল দেশকে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে এবং সভাপতি হিসেবে যে দলের নেতৃত্বে একজন মহিলা ছিলেন, তাদের থেকে এমন বক্তব্য অবশ্যই লজ্জাজনক।’