ভেঙ্কটেশ বাবু
সর্বভারতীয় পদ গ্রহণের পর বেঙ্গালুরুতে প্রথম সফরেও নিজের বক্তব্যে অনড় থাকলেন বিজেপি–র যুব মোর্চার (বিজেওয়াইএম) সভাপতি তেজস্বী সূর্য। সম্প্রতি তিনি বেঙ্গালুরু শহরকে ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর’ বলেছিলেন। ডিজে হল্লি এবং কেজি হল্লিতে বিধায়কের বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়া এবং একটি থানায় হামলার জেরে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করেন ওই তরুণ সাংসদ।
তিনি বলেন, ‘এই হিংসাত্মক ঘটনার সময় পিএফআইয়ের চৌকস আচরণকে উৎসাহ দিয়েছে কংগ্রেস। এই সব দেখে আমার রক্ত গরম হয়ে গিয়েছিল। এই কাজের জন্য কংগ্রেসের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ এই তরুণ বিজেপি নেতা সংসদে বেঙ্গালুরু দক্ষিণের প্রতিনিধিত্ব করেন। বেঙ্গুলুরু শহর সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হয়ে গিয়েছে— তেজস্বী সূর্যের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস এবং জেডিএস।
কেপিসিসি–র সভাপতি ডি কে শিবকুমারের মতে, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু শহরের ব্র্যান্ড ইক্যুইটি, সম্মান নষ্ট করেছে তেজস্বী সূর্যের ওই মন্তব্য। তিনি ওই বিজেপি সাংসদকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। জেডিএস নেতা কুমারস্বামীও এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন।
যদিও তেজস্বী সূর্যের মতে, বেঙ্গালুরুতে এনআইএ–র একটি শাখা প্রতিষ্ঠার দাবি তোলার জন্য আঘাত পেয়েছে কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ, এতে এসডিপিআই–এর সঙ্গে কংগ্রেসের ‘সুসম্পর্কে’ বাধা পড়তে পারে। তিনি আরও বলেছেন, বেঙ্গালুরুই সেই জায়গা যা তাকে শিক্ষা এবং খাদ্যসংস্থান— উভয়ই দিয়েছে। এবং বিজেপি তাঁকে অস্মিতার (গর্ব) ধারণা দিয়েছে।
তরুণ সাংসদের কথায়, একসময় পাড়ায় পাড়ায় দলীয় পতাকা বাঁধার কাজ করতেন তিনি। আর তাঁকেই এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এটি কেবল বিজেপি–তেই সম্ভব, কারণ অন্যান্য সমস্ত দলই বেসরকারি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মতো কাজ করে।