বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির তরফ থেকে দাবি করা হল, একদিনের মধ্যে তারা পাকিস্তানি সেনার ওপর ৮টি জেলায় ১০টি হামলা চালিয়েছে। এই সব অভিযানে একাধিক সেনা জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে। জখমও হয়েছেন অনেকে। এছাড়াও পাক সেনার গাড়িও নষ্ট হয়েছে এই সহ হামলায়। পুলিশ এবং সেনা জওয়ানদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি জানিয়ছে বিএলএ। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বোলানে অপহরণ করা হয়েছিল গোটা একটি ট্রেন। তাতে ২০০-র বেশি বন্দিকে মারার দাবি করেছিল বিএলএ। এদিকে আবার পাক সেনার কনভয়তেও হামলা চালিয়েছিল বিএলএ। তাতেও ৯০ সেনাকে হত্যার দাবি জানানো হয়েছিল। এই সবের মাঝেই লাগাতার হামলা জারি রেখেছে বালোচ বিদ্রোহীরা। (আরও পড়ুন: রমজানের মাঝেই ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুমিছিল গাজায়, বয়ে গেল রক্তবন্যা)
আরও পড়ুন: পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘিরে প্রশ্নের মাঝে কুম্ভের 'ক্রেডিট' নিয়ে সংসদে মোদী বললেন…
তাদের প্রকাশিত সাম্প্রতিকতম বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বালোচ লিবারেশন আর্মির মুক্তিযোদ্ধারা কোয়েটা, তুরবাত, হারনাই, মাস্টাং, পঞ্জগুর, খুজদার, নাসিরাবাদ এবং জাফরাবাদে ১০টি পৃথক অপারেশনে আইইডি হামলার মাধ্যমে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নিশানা করে। পুলিশ ও বাহিনীর অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই সব অভিযানে এবং ডেথ স্কোয়াড এজেন্টদেরও টার্গেট করা হয়। এই হামলায় পাকিস্তানি বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও এই হামলায় তিনটি গাড়ি ধ্বংস করা হয়।'
আরও পড়ুন: 'ভারতের অস্তিত্ব' নিয়ে BJP-কে তোপ বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের, মওলানা বললেন…
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ মার্চ বাইকে করে এসে বন্দুকবাজরা বালোচিস্তানের চমনে মেরে দিয়ে যায় ফ্রন্টিয়ার কোরের এক জওয়ানকে। এদিকে কোয়েটাতেও একটি গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তাতে এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন আরও এক। এর একদিন আগেই বালোচ বিদ্রোহীদের ধরতে কালাট এবং হারনাই জেলায় অভিযান চালিয়েছিল পাক সেনা। তাতে ২৩ জন বিদ্রোহী এবং ২২ পাক সেনা মারা যায় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সচিনের সন্তানের মা হলেন ‘পাক বৌদি’ সীমা, ‘পাবজি লাভার দম্পতির’ ছেলে হল না মেয়ে?
এদিকে কালাটের মুঘলজাই এলাকায় এক মহিলা বালোচ বিদ্রোহীর আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক পাক সেনার। ১৭ মার্চের সেই ঘটনায় জখম হন পাকিস্তান সেনার আরও ৪ জওয়ান। এদিকে হামলাকারী মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহাংশ ঘটনাস্থল থে উদ্ধার করা হয়েছে। পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি নিহত পাক সেনার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। অপরদিকে বালোচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি আবার দাবি করেছে, গত ১৪ মার্চ তারা 'অপারেশন গেরক' চালিয়েছিল। তাতে পাকিস্তানি সেনার নির্মাণ সাইটের কয়েক কোটি টাকার গাড়ি এবং সরঞ্জামে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। চিনের সঙ্গে মিলে বালোচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটের অভিযোগ তুলে পাক সেনার বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয় বলে দাবি করে বিএনএ।