বুধবার বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জঙ্গিদের হাইজ্যাক করা একটি ট্রেনের ভেতরে সামনাসামনি হামলা থেকে বিরত থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২৫০ জন যাত্রী এখনও পণবন্দি রয়েছেন।
পাকিস্তানের জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিও টিভিকে বলেছেন, ট্রেনের দূরবর্তী অবস্থান এবং পণবন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে নিরাপত্তা অভিযান জটিল ছিল। জঙ্গিরা বিস্ফোরক বোঝাই জামা পরে যাত্রীদের পাশেই বসে আছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের বোলানে একটি সুড়ঙ্গে ট্রেনটি লাইনচ্যুত করে বিএলএ। বিএলএ মুখপাত্র জিয়ান্দ বালোচ পণবন্দি যাত্রীদের বিনিময়ে জেলবন্দি জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের কাছে।
মঙ্গলবার ৩০ জন জঙ্গি নিহত হয় এবং ৪৫০ জনের মধ্যে প্রায় ১৯০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। দুর্গম ওই অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীকে ব্যাকিং করছে হেলিকপ্টার। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের নিজ নিজ শহরে পাঠানো হচ্ছে এবং আহতদের মাচ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য় পাঠানো হচ্ছে।
পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই: যাত্রীদের পাশে বসে জঙ্গিরা?
ট্রেনে থাকা মহম্মদ আশরাফ বলেন, হামলায় ট্রেনের চালকসহ কয়েকজন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, শরীরে বোমা বাঁধা বিএলএ জঙ্গিরা অন্য যাত্রীদের পাশেই বসেছিল।
তিনি বলেন, 'জঙ্গিরা কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে কয়েকজন পণবন্দি যাত্রীর ঠিক পাশে বসিয়ে দিয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, পাকিস্তান বন্দিদের মুক্তি না দিলে তারা পণবন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে।
‘কমরেডরা আপনাদের জন্য, এই মাতৃভূমির জন্য তাদের রক্ত ঝরাচ্ছেন,’ ট্রেনে থাকা তাদের এক যোদ্ধা টেলিগ্রাম বার্তায় খনিজ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তানের জনগণকে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীটির লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, রয়টার্সের এক সাংবাদিক কোয়েটা রেলস্টেশনে প্রায় ১০০টি খালি কফিন দেখেছেন, যেখানে জাফর এক্সপ্রেসের আরও আরোহী আসার কথা ছিল।
এখনও পর্যন্ত ১৯০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের সঙ্গে নারী ও শিশুদের উপস্থিতির কারণে চরম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
বেশ কয়েকজন যাত্রী এএফপিকে বলেন, বন্দুকধারীরা তাদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে নিরাপত্তা কর্মীদের হত্যা করে।
এজেন্সিগুলির ইনপুট সহ