রাজস্থানের বার্মার জেলার খারওয়া গ্রামের বাসিন্দা সানওয়ালারাম দেওয়াসি। ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির চোখে কিছু সমস্য়া দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের অনুমান, তিনি ব্ল্য়াক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। যোধপুরের এইমসে পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর চোখ ও চোয়ালের একাংশ বাদ দেওয়া হতে পারে বলে পরামর্শ দেন। এরপর চিকিৎসা না করিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বিষয়টি জানতে পারে স্থানীয় স্বাস্থ্য় দফতর ও প্রশাসনের লোকজন তাঁকে নানাভাবে বুঝিয়ে ফের হাসপাতালে পাঠান। ৩১শে মে তাঁরা যোধপুর এইমসে যান। এদিকে চিকিৎসকের মুখে অপারেশনের কথা শুনে ফের গ্রামে ফিরে আসেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এরপর গ্রামে ফিরেই তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয় পরিবার। পুজো. পাঠ, তান্ত্রিকের কথা মতোই অর্থ ব্যয় করছে পরিবার। কিন্তু বাসিন্দারাও তাঁদের বুঝিয়ে ক্লান্ত। আপাতত তান্ত্রিকেই ভরসা তাঁদের। চিকিৎসা পরিষেবা নিতে চান না তাঁরা। তবে রোগীর ছেলে হরিরাম দেওয়াসির দাবি আমরা তান্ত্রিকের পেছনে টাকা খরচ করছি না। চিকিৎসক যখন চোখ ও চোয়াল বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন তখন আমরা চিকিৎসা নিতে চাইনি। আমরা বাড়িতেই প্রার্থনা করে, আচার অনুষ্ঠান করে তাঁর দ্রুত নিরাময় চাইছি। এদিকে ওই বাড়ির বাইরে পোস্টার লাগিয়েছে প্রশাসন, যাতে ওই বাড়িতে কেউ না যান। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ আর আর সুথার বলেন, পরিবারের লোকজন অপারেশন করাতে চাইছেন না।এইমসের চিকিৎসকরা যা বলে দিয়েছেন সেই পরামর্শ তাঁরা বাড়িতে থেকে মানছেন। এটাই শুনেছি।