লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে টেপ দিয়ে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী বার্তার প্যাকার্ড আটকে দিলেন জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদীরা। স্তম্ভের নীচে লিখে দেওয়া হল - 'বর্ণবিদ্বেষী'।
নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিঙ্কন-সহ ব্রিটিশ, কমনওয়েলথ এবং বিখ্যাত বিদেশি রাজনীতিবিদদের মূর্তি রয়েছে। গান্ধীর মূর্তিটি ২০১৫ সালে বসানো হয়েছিল। প্রতিবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মূর্তিও। স্প্রে-পেন্টিং করে লিখে দেওয়া হয় - 'বর্ণবিদ্বেষী ছিলেন'।
মার্কিন পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে আমেরিকা। সেই #BlackLivesMatters আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেন। গত কয়েকদিন ধরে সেদেশে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। মূলত দক্ষিণ-পূর্বের শহর ব্রিস্টলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। যে শহরের সঙ্গে ক্রীতদাস কেনাবেচার ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সপ্তদশ শতকে এডওয়ার্ড কোলস্টোন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি সেই কেনাবেচায় জড়িত ছিলেন। ১৮৯৫ সালে সেখানে তাঁর একটি মূর্তিও বসানো হয়েছিল। #BlackLivesMatters আন্দোলনের প্রতিবাদীরা দড়ি ধরে সেই মূর্তি ফেলে দেন এবং তা অ্যাভন নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
সেই ভিডিয়ো টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই অনেকেই পার্লামেন্ট স্কোয়ারের গান্ধী মূর্তি একই ঢঙে ফেলে দেওয়ার আওয়াজ তোলেন। কেউ কেউ বলেন, ‘এবার কি এটা গান্ধীর মূর্তির সঙ্গে করা যায় না?’ তারইমধ্যে এবার গান্ধী মূর্তির স্তম্ভের 'বর্ণবিদ্বেষী' লিখে দেওয়া হল।