বুধবার কাবুল কেঁপে ওঠে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের দফতরের সামনে এই বিস্ফোরণ ঘটে। কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি। কোনও সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। এদিকে, এমন রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে কেবলই স্বজনহারার কান্না ও আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে অন্তত ২০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় মারা গিয়েছেন। কীভাবে এই বোমা বিস্ফোরণ হয়, কোথায় সেটি রাখা ছিল তার হদিশ মেলেনি। আপাতত আহতদের চিকিৎসার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তালিবান সরকারের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। সংবাদ সংস্থা এএফপির গাড়ি চালক জামশেদ করিমি বলছেন, ‘আমি দেখেছি একজন ব্যক্তি নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিচ্ছেন।’ তাঁর এই বক্তব্য থেকে মনে করা হচ্ছে, যে এই বিস্ফোরণ কোনও আত্মঘাতী বোমা হামলা হতে পারে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে গত বছরই শাসনভার দখল করে তালিবান। মার্কিনি সেনা সেদেশ ছেড়ে চলে যেতেই আফগান মুলুকের পতন হয়। এরপর থেকে সেদেশে শুরু হয় তালিবনি শাসন। একের পর এক অত্যাচারের ঘটনা বিশ্বকে আতঙ্কিত করে তোলে।
প্রসঙ্গত, সদ্য আফগানিস্তানে মহিলাদের উচ্চশিক্ষা স্তব্ধ করা হয়েছে। সেখানে মহিলারা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবেন বলে ফরমান জারি করেছে তালিবান সরকার। যার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সেদেশের বহু শিক্ষাবিদ। অনেকের করেছেন পদত্যাগ। ফলে তালিবান বিরোধিতা দেশের অন্দরে জন্ম নিতে শুরু করে। এছাড়াও পাঞ্জশিরের 'শের' হিসাবে পরিচিত আহমেদ মাসুদ ক্যাম্পও তালিবানের বিরোধিতায় লড়াই জারি রেখেছে বহুদিন। ফলে তালিবানি শাসনের আওতায় কে বা কারা এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup