ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনে দোষী সাব্যস্ত দুই কট্টরপন্থীকে ফিল্মি কায়দায় ছাড়িয়ে নিয়ে দেল তাদেরই দুই সঙ্গী। ঢাকার সিজেএম আদালত চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, উধাও হওয়া দুই জঙ্গি আল কায়দার আদর্শে অনুপ্রাণিত। তারা আনসারুল্লা বাংলা টিম-এর সদস্য। পলাতক জঙ্গিদের নাম হল মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের চোখে লঙ্গাগুঁড়ো মেশানো জল ছুঁড়ে এই দুই দোষীকে নিয়ে পালায় অন্য জঙ্গিরা।
গতকাল, রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কোনও হদিস মেলেনি সিফাত ও সাকিবের। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অপরাধীকে সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে। পলাতকদের সন্ধান দিলে ১০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়। ১১ পুলিশের পাহারায় আনা দুই জঙ্গিকে কীভাবে বাইকে আসা দুষ্কৃতীরা ছাড়িয়ে নিয়ে গেল তা নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা শুরু হয়েছে। সিজেএম আদালত ভবনের ঠিক বাইরে ভিড়ের মধ্যে তিনটি মোটরবাইকে আসা জঙ্গিরা অপেক্ষা করছিল। তারাই পুলিশের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো গোলা জল স্প্রে করে এলোপাথাড়ি মারধর করে ধৃত জঙ্গিদের ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনার পরই গোটা বাংলাদেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বাড়তি সতর্কতা অবল্বন করছে সীমান্তরক্ষী বিজিবি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে একুশের বইমেলা থেকে ফেরার সময় মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল রাস্তায়। এর কয়েক মাস পরই অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনের মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা।