করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল দশা চিনের। এই আবহে সেদেশের বহু প্রদেশে রক্তের অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে চিনে একাধির শহরে নাগরিকদের রক্তদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। করোনার বাড়বাড়ন্ত, অত্যাধইক ঠান্ডার মতো কারণের জন্য সেদেশে রক্তের অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে কোভিড রোগীদের পাশাপাশি অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের পড়তে হচ্ছে বিপদে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও পরিস্থিতি হালকা করে দেখাতে চাইছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দ্বারা পরিচালিত সংবাদমাধ্যমগুলি।
শ্যানডং প্রদেশের রক্ত কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এ এবং ও গ্রুপের রক্তের স্টক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। উৎসবের মরশুমে করোনা বৃদ্ধি পেলে রক্ত স্বল্পতার সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে চিনের গর্ভবতী নারী এবং অন্যান্য রোগীদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। যা পরিস্থিতি, তাতে গুয়াংডং প্রদেশে রোজ অন্তত ১২০০ জন রক্তদাতার প্রয়োজন পরিস্থিতি সামাল দিতে। এদিকে গুয়াংজাও প্রদেশে রক্তদান করলে এন৯৫ মাস্ক উপহার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আরও বেশ কয়েকটি প্রদেশ নাগরিকদের এগিয়ে এসে রক্তদান করার আহ্বান জানিয়েছেন। হেনান, শাংশি, শিচুয়ান প্রদেশে রক্তদানের জন্য নাগরিকদের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে দাবি কার হয়েছিল, গত ২০ ডিসেম্বর, সে দেশে একদিনেই ৩.৭ কোটি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হন। জানুয়ারি মাসে সংখ্যাটা ৪ কোটি ছুঁতে পারে। দৈনিক এত কোটি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় চিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হিসেব বলছে ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনেই চিনে ২৪.৮ কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন চিনে। দেশটির জনসংখ্যার ১৮ শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বিগত এই কয়েকদিনে। এদিকে অন্য বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে আগামী কয়েক মাসে চিনে কোভিড অতিমারির তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়বে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ এই সংক্রমণের ঢেউতে প্রাণ হারাবেন। যদিও কোভিডে মৃত্যুর সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে চিন। সরকারি ভাবে তারা এই সব রিপোর্টকে খারিজ করেছে। এখন তো আর কোভিড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশও করছে না চিন। এরই মধ্যে বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিয়োতে চিনের হাসপাতাল এবং শ্মশানের বিভীষিকাময় চিত্র ফুটে উঠেছে। এই আবহে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি সংবাদমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের ওপর আরও কড়া নজরদারি চালাতে শুরু করেছে। চলছে সেন্সরের কাচি।