কল খুললেই নীল জল পড়ছে। আর সেই জল থেকে রীতিমতো ফেনা হচ্ছে। আচমকা দেখলে মনে হবে, কাপড় কাচার পরে যে জল পড়ে থাকে, সেটাই যেন বেরোচ্ছে। আর কাপড় কাচার ফলে নীল রং উঠেছিল। সেজন্য জলের রংটা নীল হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়োও (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য মিমও। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির কয়েকটি এলাকায় যে এরকম মারাত্মক দূষিত আসছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে দিল্লি জল বোর্ড। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
কোথায় সেই ঘটনা ঘটছে?
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আউটার দিল্লির পীরাগড়ি গ্রামে সেই ঘটনা ঘটছে। সপ্তাহদুয়েকের বেশি সময় ধরে কল খুললেই নীল জল বেরিয়ে আসছে। যেখানে জল পড়ছে, সেখানেই ফেনা হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামের একপাশে একাধিক রাসায়নিক এবং ডেনিম কারখানা আছে। কারখানা থেকে যে রাসায়নিক বের হচ্ছে, তা দিল্লি জল বোর্ডের সরবরাহ করা জলকে দূষিত করে দিচ্ছে। আর এখন তো পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: Beneficial Tax Regime: ৭ লাখ থেকে ৭ কোটি- আপনার আয় কত হলে কোন কর কাঠামোয় বেশি টাকা বাঁচবে? রইল হিসাব
মেঝের টাইলসও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, দাবি গ্রামবাসীর
সেই পরিস্থিতিতে গ্রামের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মণীশ কুমার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন যে জলের রং এতটাই নীল যে মেঝের টাইলসও একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নীল রঙের জল বেরনোর ছবি পোস্ট করে এক নেটিজেন বলেন, ‘দিল্লির লোকজন নীল জল পাচ্ছেন। তাঁদের বাড়তি কোনও টাকাও দিতে হচ্ছে না। তারপরও ওঁরা অভিযোগ করে যাচ্ছেন। কেউ-কেউ কোনওদিনই খুশি হবেন না। অনেকে তো সাধারণ জলও পান না।’
পঞ্চায়েত প্রধান কী বলছেন?
ওই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ শওকিন জানান যে এমনিতেই তাঁদের এলাকার জলের গুণগত মান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন আছে। গত চার মাস ধরে ঠিকমতো জল আসছে না। আর গত দু'সপ্তাহে তো কল খুললেই নীল জল বের হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।