ধর্মমত নির্বিশেষে Covid-19 সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির দেহ কাছাকাছি শ্মশানে দাহ করতে হবে। সোমবার প্রথমে এমনই নির্দেশ জারি করেছিল বৃহন্মুম্বই পুর নিগম (বিএমসি)। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হলে ধর্মমত বিচার না করে মৃতদেহ দাহ করার নির্দেশ এ দিন জারি করেছিল পুর নিগম। নির্দেশে আরও বলা হয়েছিল, সৎকারের সময় পাঁচ জনের বেশি শ্মশানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। সেই সঙ্গে মৃতদেহ স্পর্শ করার মতো কোনও ধর্মীয় আচারও পালন করা যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পুর নিগমের যুক্তি ছিল, করোনা সংক্রমণে মৃতের দেহ সমাধিস্থ করলে ভবিষ্যতেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। সামাজিক সংক্রমণ রুখতে তাই Covid-19এ মৃত ব্যক্তির দেহ দাহ করার বিধান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পরেই হঠাৎ ভোল বদলে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল বিএমসি।
এ দিন নোটিশ জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টুইটারে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নওয়াব মালিক জানালেন, নির্দেশের বিষয়ে জানতে তিনি বিএমসি কমিশনারকে ফোন করলে জানতে পারেন যে, উক্ত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহন্মুম্বই পুর কমিশনার প্রবীণ পরদেশী তাঁর নির্দেশে জানিয়েছিলেন, ‘ধর্মমত নির্বিশেষে Covid-19 এ মৃত রোগীর দেহ নিকটতম শ্মশানে দাহ করতে হবে। দেহ স্পর্শকারী সমস্ত আচার এড়িয়ে যেতে হবে। সম্প্রদায়ের নেতারা সম্প্রতি আমায় জানিয়েছেন যে, অধিকাংশ সমাধিক্ষেত্র লোকালয়ের মধ্যে অবস্থিত এবং এই কারণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। প্লাস্টিক ব্যাগে দেহ মুড়ে সমাধি দিলে স্বাভাবিক পচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয় এবং সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। এই ঝুঁকি থেকে রেহাই পেতে সমস্ত Covid-19 আক্রান্ত মৃতের দেহ দাহ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত মৃতদেহ সমাধিস্থ করা নিষিদ্ধ হল। সহকারী কমিশনাররা এই নির্দেশ স্থানীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেবেন। মৃতদেহ দাহ করার সময় ৫ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।’
কমিশনার আরও জানিয়েছিলেন যে, স্থানীয় পুলিশ থানায় মৃত্যুসংবাদ দেওয়ার পরে মৃতদেহ হস্তান্তর করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শ্মশানকরম্দীরে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করেছে বৃহন্মুম্বই পুর নিগম।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে আরও ১২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫ জন পুণের, ৩ জন মুম্বইয়ের, ২ জন নাগপুরের, একজন কোলহাপুরের এবং একজন নাসিকের বাসিন্দা। রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১৫ হয়েছে এবং সংক্রমণে মারা গিয়েছেন এ পর্যন্ত ৯ জন।