শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে। ইতিমধ্য়েই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আওয়ামি লীগের একাধিক নেতা নেত্রীও বাংলাদেশ ছেড়েছেন বলে খবর। তবে আওয়ামি লীগের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল হল বিএনপি ও জামাত। তারা কী বলছে? তারা কী চায় আওয়ামি লীগের নিষিদ্ধকরণ?
তবে সূত্রের খবর, বিএনপি ও জামাত দুই রাজনৈতিক দলই চাইছে না কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হোক। গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিএনপি ও জামাত ই ইসলামি দুই রাজনৈতিক দলই হাসিনার তীব্র বিরোধিতা করে।
তবে বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফাকরুল ইসলাম আলমগীর পিটিআইকে জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা চাই আওয়ামি লীগ ভোটে লড়াই করুক। আমরা নির্বাচনী পদ্ধতির মাধ্য়মে তাদের পরাজিত করব। এই বাংলাদেশের মানুষ বিদ্রোহের মাধ্যমে তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এবার বাংলাদেশের মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করবে।
এদিকে ঘটনাচক্রে বিএনপির তরফে গত জানুয়ারি মাসের বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনকে বয়কট করা হয়েছিল।
এদিকে হাসিনা সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে সেই জামাতও চাইছে না যে আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।
জামাত ই ইসলামীর প্রধান সফিকুর রহমান পিটিআইকে জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগ জমানায় আমাদের সবথেকে বেশি ভুগতে হয়েছে। আমাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল তারা। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তার আদর্শকে পুরোপুরি মুছে ফেলা যায়। আমরা তার একটা বড় নজির।
তিনি পিটিআইকে জানিয়েছেন, আমরা চাই যাতে আওয়ামি লীগ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আমরা তাদের ভোটের লড়াইতে পরাজিত করব।
এদিকে বর্তমানে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে। আওয়ামি লীগের নেতাদের উপর নানা সময় হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এর জেরে একাধিক আওয়ামি লীগের নেতা নেত্রীরা হয় বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা বাংলাদেশেরে জেলে রাত কাটাচ্ছেন। মাঝে কিছু নেতা নেত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছিলেন। ফের ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বিশেষ ধোপে টেকেনি বলে খবর। তবে বিএনপি ও জামাত কেউই চায় না আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক।