উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ। সে দেশ ছেড়ে কার্যত পালিয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এখনও সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শোনা যায় বাংলাদেশে। কালের কণ্ঠ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার নাটোর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাহেবের অনেক দরদ। একজন গণহত্যাকারী পতিত স্বৈর শাসকের জন্য নরেন্দ্র মোদী সাহেবের এত দরদ লাগলে তাকে ভারতের কোনও প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বানিয়ে দিক।’
‘তাতে আর কিছু না হলেও দিনের ভোট কীভাবে রাতে করতে হয় ভোটার ছাড়াই কীভাবে নির্বাচন করে জিততে হয় শেখ হাসিনা সেসব নরেন্দ্র মোদীকে শিখিয়ে দিতে পারবেন।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘হাসিনা ও তার দোসরদের দেশের ভেতর ও বাহির যেকোন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও ষড়যন্ত্র টের পেলে দেশের সকল দলমত ধর্ম বর্ণের মানুষ একত্র হয়ে তা রুখে দিতে হবে। ’
কার্যত শেখ হাসিনাকে নিশানা করে একের পর এক তির ছোঁড়েন তিনি বলেন, ‘নানা মিথ্যা অপপ্রচার করে দেশকে ছোট করছেন। সেই সুযোগ নিয়ে ভারত সরকার ও সেখানকার উগ্র বাসিন্দারা হাসিনার পতনে মর্মাহত হয়ে বাংলাদেশের সকল মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান সহ সকল ধর্মের মানুষের চিরদিনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক নষ্ট করতে পায়তারা করছে।’ দাবি ওই বিএনপি নেতার।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, 'ভারতের বিদেশ সচিব যখন বাংলাদেশে এসেছেন, তখন তাঁকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এটা বলা হয়েছে - শেখ হাসিনা একজন গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট। তাঁর এই মুহূর্তে বিচার হওয়ার কথা, তাঁর এখন জেলে থাকার কথা। কিন্তু তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। এবং সেখান থেকেই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি, বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি এই ধরনের আর কোনও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ভারত তাঁকে বাধা দেবে।'
এবার শেখ হাসিনাকে নিশানা করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী।