কবে হবে বাংলাদেশের নির্বাচন? না, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের পরও সেই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া গেল না। যদিও সেই প্রক্রিয়া দ্রুত সারা হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিন প্রায় বেলা ৩টে (স্থানীয় সময় অনুসারে) থেকে ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের (প্রায় ১০০ জন) সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সাত সদস্যের এই কমিশনের মাথায় রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস নিজেই।
সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল জানান, নির্বাচন নিয়ে তাঁদের দলের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, আগে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। এবং তারপর স্থানীয় বা আঞ্চলিক নির্বাচনগুলি সারতে হবে। মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠকেও দলের এই অবস্থান তুলে ধরেছেন তাঁরা।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে এই বৈঠক সংক্রান্ত যেসমস্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট যে এদিনও সংস্কারের কাজগুলির উপরেই গুরুত্ব আরোপ করেছেন মহম্মদ ইউনুস। মির্জা ফখরুলের কথাতেও কার্যত তারই আভাস মিলেছে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে - তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে প্রথম বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে তিনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলেছেন। দলগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, সংস্কারের যে প্রতিবেদনগুলি বিভিন্ন কমিশন জমা দিয়েছে, সেগুলির উপর আলাপ - আলোচনা হবে। দলগুলি এ নিয়ে কমিশনগুলির সঙ্গে কথা বলবে। এবং একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। সেটাই মূল কথা। আজ প্রাথমিক আলোচনা (হয়েছে), বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন কথা বলেছে।'
আর এই প্রেক্ষিতেই মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করে বলেছেন, 'আমরা আশা করব, খুব দ্রুত এই সংস্কারের বিষয়ে ন্যূনতম যে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেটির উপর ভিত্তি করে অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।'
অর্থাৎ - যেখানে কেয়ারটেকার সরকার এখনও সংস্কারের উপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে বিএনপি-র মতো রাজনৈতিক দলগুলি মূলত বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন করানো ও নির্বাচিত স্থায়ী সরকার গঠনের বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
পাশাপাশি, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই বৈঠক প্রসঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানিয়েছেন, এদিনের এই প্রথম বৈঠকটি ছিল মূলত পরিচিতিমূলক। যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব মতামত উপস্থাপিত করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকর বা গঠনমূলক আলোচনা হয়নি।