বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি জামাতের কথায় চলছে? দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের একটি অভিযোগ উঠছে ইউনুসের বিরুদ্ধে। আর এবার সরাসরি এই অভিযোগ করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। উল্লেখ্য, 'ভারত বিরোধী' এবং 'কট্টরপন্থী' হিসেবে পরিচিত রিজভি অভিযোগ করেন, ইউনুস জমানায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামাতিকরণ করা হয়েছে। এর আগে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের তরফ থেকে অভযোগ করা হয়েছিল, ইউনুস আদতে জামাতের এজেন্ট হিসেবে দেশ চালাচ্ছেন। এবার বিএনপি নেতার কথাতেও সেই একই অভিযোগের সুর শোনা গেল। (আরও পড়ুন: 'এতদিন বাংলাদেশে এই ধরনের হুমকি…', কলকাতায় সরস্বতী পুজোয় বাধা? বিস্ফোরক সুকান্ত)
আরও পড়ুন: জামিনে জেলমুক্তির ১৫ দিন যেতে না যেতেই ২টি বিধানসভা কমিটিতে স্থান পেলেন বালু
রিজভি বলেন, '১/১১–এর সময় সরকারকে বলা হত সেনাসমর্থিত সরকার। বর্তমান ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সরকারকে বলা হয় একটি বিশেষ দল সমর্থিত সরকার। এ সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জামাতিকরণ করে ফেলেছে। এটা তো অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই বিশেষ দল দখল করে ফেলেছে। এটা হবে কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব জায়গায় প্রধানর দায়িত্বে বসানো হয়েছে জামাতের লোকদের।' (আরও পড়ুন: আচমকাই সাহস বাড়ছে আওয়ামিপন্থীদের, বাংলাদেশে মিছিল বের করল 'নিষিদ্ধ' ছাত্রলিগ)
এদিকে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনকারীদের একটা বড় অংশ চেষ্টা করে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলতে। এই আবহে রিজভির স্পষ্ট বার্তা, 'মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করে, কটাক্ষ করে আপনারা যদি এই দেশে রাজনীতি করতে চান, সেই রাজনীতি কখনওই সফল হবে না। মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে ৫ আগস্টকে। এটা মানুষ মেনে নেবে না। ৫ অগস্ট একটা দুনিয়া কাঁপানো গণ-অভ্যুত্থান। এর বার্তা, রূপ ও বৈশিষ্ট্য এক ধরনের। আর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আরও বড় ক্যানভাসের... ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান। ওটাকে ছোট করে এটাকে বড় করলে লাভ হবে না। এটা মানুষ ভালোভাবে নেবে না। বিশেষ করে আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণ-কিশোর-যুবকদের কেউ কেউ এই সুরটা তুলছে। এটা কিন্তু খুবই গর্হিত একটি বিষয়, এটা হতে পারে না।' (আরও পড়ুন: এই প্রথম! বেসরকারি মহাকাশ অভিযানে পাইলট হবেন ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার)
এদিকে শেখ হাসিনাকে আক্রমণ শানিয়ে রিজভি বলেন, 'শুনতে পারছি শেখ হাসিনা নাকি অন্য একটি দেশ থেকে বাংলাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন, কত কিছু করেন। আর জেলখানায় যে কজন ধরা পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক দরবেশ আছেন। উনি ঝাড়-ফুঁক দিচ্ছেন যে, এতো শ্রমিক নেমে যাবে, নেমে গেলেই তো হয়। আমি জানি না তাঁদের আইনি প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কীভাবে কথা বলতে পারেন। নিশ্চয়ই তাঁদের জেলের মধ্যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা সেটা ব্যবহার করে অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত আছেন।'