ভারত, বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে সদ্য মালদহের বৈষ্ণবনগরে উত্তেজনা দেখা যায়। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাংলাদেশের বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল রিজভি। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ও বিজিবিকে এই নিয়ে সাধুবাদ জানান। পাশাপাশি আরও একটি দাবিও করেন। রিজভির দাবি, ভারত নিয়ম না মেনে লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়াগায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রুহুল রিজভি। বাংলাদেশে বিএনপির এই নেতা বলেন,' আমাদের ৪ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। ৮৫৬ বা ৮৫৭ কিলোমিটার বাকি আছে।' এরই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘ আন্তর্জাতিক নিয়ম, বিধি-বিধান এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি এমনকী যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, সেটাও মানছে না তারা।' রিজভির আরও দাবি,' শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজ সীমানার মধ্যে কোনও উন্নয়ন পরিকল্পনা হবে না। হতে গেলেও দুই দেশের মধ্যে যে আলাপ-আলোচনা করতে হবে, সেটা না মেনে লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়াগায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’ রিজভি এই বিষয়ে বিজিবি ও সীমান্তে থাকা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়টির ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনার পার্টি আওয়াম লিগের কট্টর বিরোধী ও ভারত বিরোধিতায় সরব রুহুল রিজভি বলেন,' এর বিরুদ্ধে যে জনগণ দাঁড়াতে পারে, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীর (বিজিবি) প্রতিরোধের সঙ্গে (জনগণ) প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, এই দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার আমলে শেখ হাসিনা দেখাতে দেয়নি।' শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়ে বলেন,'ফ্যাসিজম দিয়ে, নির্দয়তা দিয়ে, নির্মমতা দিয়ে তিনি ভারতের সেবাদাস হয়ে কাজ করেছেন।'
এরইসঙ্গে ভারতের প্রতি ক্ষোভের সুর চড়া করে রিজভি বলেন,'দুইটি স্বাধীন দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যে কাজগুলো করা যায়, সেটা না করে ভারত জোর করে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।' শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও গর্জন করে রুহুল রিজভি বলেন,' শেখ হাসিনার যোগসাজশে আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ভারত ১৬০ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।'বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের দাবি, শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতকে নানা সুবিধা দিয়েছেন।