ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ জুড়ে আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে যে হামলা, ভাঙচুর, অরাজকতা চলছে, তা নিয়ে এবার নয়া সন্দেহ উদয় হয়েছে বিএনপির মনে। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। সেখানেই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের এতদিন পরে ফের এই অরাজক পরিস্থিতির নেপথ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা হতে পারে। এই আবহে মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করার জন্যে বিএনপি একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (আরও পড়ুন: 'শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস করবেন না', বাংলাদেশিদের বার্তা ইউনুসের)
আরও পড়ুন: মাকে দেখতে ভিসা না পেয়ে কনস্যুলেটে 'অনুপ্রবেশ' ভারতীয়-আমেরিকান বামপন্থী নেত্রীর
আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো 'বিপ্লবীদের' মারধর স্থানীয়দের, জখম ১৫
এই আবহে আগামী সোমবারই ইউনুসের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এরই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনেও একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারে বিএনপি। এদিকে বিএনপি ইতিমধ্যেই দলের কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের কারও বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ম্যুরাল ভাঙচুর সহ কোনও হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে যেন কেউ জড়িত না থাকে। বিএনপি বলছে, বলছে, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বিলম্বিত করাই এসব হামলার উদ্দেশ্য। এই আবহে এই হিংসা তারা সমর্থন করছে না। এদিকে ইউনুস সরকারের উদ্দেশে বিএনপির বার্তা, পরিস্থিতি সামাল না দিতে পারলে দেশে নৈরাজ্য আরও বাড়বে। (আরও পড়ুন: 'জবাবি শুল্ক' আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও? জোর জল্পনা)
আরও পড়ুন: বাংলায় বসে অঙ্ক কষলেন দেবাংশু, দিল্লিতে AAP-কে 'জেতালেন' TMC নেতা!
আরও পড়ুন: চলছে 'অপারেশন ক্লিন', কেরলে গ্রেফতার বাংলাদেশি দশরথ এবং তাঁর 'বিবি'
এদিকে এই সব ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এর বিবৃতি প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেছেন, 'আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি লক্ষ করছি। হাজারো শহিদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই–আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণ–অভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলে গত বুধবার ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকগুলো ভেঙ্গে ফেলার মতো ঘটনা ঘটছে। সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।'