বিগত দিনে বাংলাদেশ সীমান্তে বহু বাংলাদেশি পাচারকারী বিএসএফ-এর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। সেই দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে মাদক পাচারের চেষ্টা হোক কি ভারত থেকে গরু, সোনা পাচারের চেষ্টা, দৃঢ় ভাবে সেই সব রুখে দিয়েছে বিএসএফ। তবে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির সেই বিষয়টাই 'ঘুরিয়ে' দিয়ে ভারতকে তোপ দাগলেন। তাঁর কথায়, 'আমরা সব সময় সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলেছি এবং আমরা মনে করি, ভারতের অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা উচিত।' এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশি পাচারকারীদের হয়ে কেন সওয়াল করছেন বিএনপি মহাসচিব। (আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে হতবাক বাংলাদেশ! কী হচ্ছে, তা জানেই না ইউনুসের সরকার?)
আরও পড়ুন: পেটের জ্বালা বড় জ্বালা! চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতীয় জাহাজ, ইউনুসের দেশে গেল…
উল্লেখ্য, বিএসএফ-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই বছরে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১১ হাজার ৮৬৬ কেজি মাদক উদ্ধার হয়েছে। ১৪টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২২ পাচারকারীকে খতম করা হয়েছে। এবং ৪১৬৮ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তে পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে ১৩০০ কোটি মূল্যের ১৭৩ কেজি সোনা এবং ১৭৯ কেজি রুপো। এদিকে সম্প্রতি আবার বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হিন্দু নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ, উত্তর দিনাজপুর, ত্রিপুরা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম ঝুলন্ত রেল ব্রিজে সফল ট্রায়াল রান, কাশ্মীরে কবে থেকে ছুটবে ট্রেন?)
আরও পড়ুন: আফগান মাটিতে বোমা বর্ষণ পাকিস্তানের, মৃত ৪৬, অধিকাংশই মহিলা-শিশু: তালিবান
আরও পড়ুন: ATM-এর পাশাপাশি ই-ওয়ালেটেও মিলতে পারে PF-এর টাকা? RBI-এর সাথে আলোচনা সরকারের
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অস্থিরতার পর থেকে সীমান্তে আরও কড়া হয়েছে বিএসএফ। কার্যত মাছি গলার উপায় নেই। এদিকে এসবের মধ্যেই সম্প্রতি জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি গ্রামের কাছে প্রবেশের চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। সেই সময় বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তার নাম মহম্মদ আনোয়ার বা আনোয়ার হক। ৩৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে সীমান্ত পথে গরু পাচার হচ্ছিল। আসলে শীতকালে কুয়াশার সুযোগ নেয় পাচারকারীরা। অন্তত ১৫-২০টি গরু সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করা হচ্ছিল। অন্তত ২০ জন পাচারকারী এলাকায় ছিল। বিএসএফ সীমান্তে ওই পাচারকারীদের দেখতে পেয়েই চ্যালেঞ্জ করে বাহিনী। তাদের তাড়া করেন জওয়ানরা। এদিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের উপর হামলার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। হামলার জেরে এক বিএসএফ জওয়ান আহত হন। জওয়ানরা পালটা গুলি চালান। এক পাচারকারীর গুলি লাগে। তার নাম মহম্মদ আনোয়ার। সেই অবস্থায় সে সীমান্তের দিকে ছুটতে থাকে। এরপর সে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও খবর। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ৭৫১ বর্ডার পিলারের কাছে এই ঘটনা হয়েছে বলে খবর।