মহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূলে অস্ত্র, বিস্ফোরক বোঝাই একটি বোট পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার হরিহরেশ্বর তীরের কাছে এই বোটটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা গিয়েছে বোটে AK 47 রাইফেল, বিস্ফোরক ও গুলি ছিল। প্রাথমিক ভাবে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করা হলেও পরে জানা যায় এই বোটটি আদতে এক অস্ট্রেলিয়ান দম্পতির। (আরও পড়ুন: ভারত বিরোধী ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায়ে ৮টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করল কেন্দ্র)
এদিকে এই বোট উদ্ধার হওয়ার পরই মহারাষ্ট্রের উপকূলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। জানা যায়, উদ্ধার হওয়া বোটে কেউ ছিল না। তবে বোটের আরোহীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, রায়গড়ের উপকূলে যেখান থেকে এই বোট উদ্ধার হয়েছে, তা মুম্বই থেকে ২০০ কিমি দূরে। জানা গিয়েছে, বোটে ৩টি AK 47 রাইফেল ছিল এবং দশ বাক্স গুলি ছিল। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালে তা নিয়ে বিবৃতি দেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
আরও পড়ুন: অঘোষিত সফরে রাশিয়ায় অজিত ডোভাল, বৈঠক রুশ নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে
রায়গড়ের বিধায়ক অদিতি তাটকরে বলেছেন যে রায়গড় এলাকায় সন্দেহজনক নৌকা খুঁজে পাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের এসপি অশোক জানিয়েছেন যে পুলিশ হরিহরেশ্বর সৈকত থেকে একটি সন্দেহজনক নৌকা খুঁজে পেয়েছে। নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি রাইফেল, অনেক কার্তুজ ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
পরে অবশ্য, দেবেন্দ্র ফড়নবীস বলেন, ‘নৌকাটির মালিক একজন অস্ট্রেলিয়ান মহিলা। তাঁর স্বামী এই নৌকার ক্যাপ্টেন। নৌকাটি মাসকাট থেকে ইউরোপে যাচ্ছিল এবং ২৬ জুন যাত্রা শুরু করেছিল। প্রবল জোয়ার এবং উত্তাল সমুদ্রে আটকা পড়ার পরে নৌকাটির ক্যাপ্টেন ‘SOS’ জানান। কোরিয়ান নৌবাহিনীর একটি বোট তাঁদের উদ্ধার করে ওমান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। নৌকাটি সমুদ্রে ভেসে আজ হরিহরেশ্বরে এসে পৌঁছায়।’
ফড়নবীস আরও বলেন, ‘আমরা কোস্টগার্ড সহ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এর সাথে কোনও সন্ত্রাসী হামলার সম্পর্ক নেই। তবে আমরা ঘটনার বিশদ অনুসন্ধান করছি। পুলিশ ও অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড তদন্ত করছে। রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।’