ফারহান
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের নবাবগঞ্জ থানা এলাকায় একই পরিবারের ৫জনের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সকালে এক মাঝবয়সী দম্পতি ও তাঁদের তিন কন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মা ও তিনমেয়ের গলা ধারালো কিছু দিয়ে কেটে খুন করা হয়েছে। মহিলার স্বামীর দেহ ঝুলছিল ঘরের বাথরুম থেকে। পুলিশের ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। স্নিফার ডগ দিয়েও এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে স্বামী রাহুল তিওয়ারি(৪২), তার স্ত্রী প্রীতি(৩৮), তিন মেয়ে মাহি(১৪), পিহু(১০) ও পহুর (৮) দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাহুল গরুর ব্যাবসা করতেন। তিনি আদপে পাশের জেলা কৌশম্বির বাসিন্দা। তবে গত কয়েকবছর ধরে তিনি প্রয়াগরাজে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। প্রতিবেশীরাই প্রথম ওই দেহগুলি দেখতে পান। এরপরই তারা পুলিশকে গোটা ঘটনা জানান।
এসএসপি অজয় কুমার ও অন্যান্য পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রয়াগরাজের আইসি রাকেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, ডাকাতি করতে এসে এই ঘটনা কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। অন্য়দিকে রাহুল অন্যান্যদের খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে সমাজবাদী পার্টির দাবি, গোটা ইউপি দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে গিয়েছে।