ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল দেহ।সেরাইকেল্লা-খারসওয়ান জেলার চান্ডিল বাঁধের কাছে শিক্ষানবিশ শুভ্রদীপ দত্ত এবং পাইলট জিত সাতরু আনন্দের দেহ উদ্ধার হয়। দুর্ঘটনার পরেই ভারতীয় নৌবাহিনী এবং এনডিআরএফ যৌথ তল্লাশি অভিযান চালায়। প্রথমে বৃহস্পতিবার সকালে শুভ্রদীপের দেহ উদ্ধার হয়। এরপর বিকেলে আনন্দের দেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ১৪ জন যাত্রী নিয়ে ভারতের মাটিতে ভেঙে পড়ল পড়শি দেশের সামরিক বিমান
অ্যালকেমিস্ট এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানাধীন বিমানটি জামশেদপুরের একটি পাইলট প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে উড়ান শুরু করেছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জামশেদপুরের সোনারি বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার মিনিটের মধ্যে সেসেনা ১৫০ বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানে ছিলেন, আনন্দ বিহারের পাটনার বাসিন্দা এবং আদিত্যপুরের বাসিন্দা হলেন শুভ্রদীপ দত্ত। বিমানটি ভেঙে পড়ার পর বৃহস্পতিবার নৌবাহিনী অনুসন্ধান অভিযানে যোগ দেয়। তাঁদের মৃতদেহগুলি একে অপরের থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে জলাশয়ে পাওয়া যায়।
পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীরা প্রথমে সকাল ৯টায় বাঁধের কাছে জলে শুভ্রদীপের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। তারা বিষয়টি জানান পুলিশকে। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে এনডিআরএফ এবং নৌবাহিনীর দল তাঁর দেহ উদ্ধার করে। সেরাইকেল্লা-খারসাওয়ান জেলা প্রশাসক আরএস শুক্লা বলেছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরে অনুসন্ধানকারী দলগুলি বুধবার জলের মধ্যে এক জোড়া জুতো ভাসতে দেখে।সেগুলি মৃতদের একজনের ছিল। তাতে তারা নিশ্চিত হয়েছিলেন যে দুর্ঘটনাটি সেখানেই ঘটেছিল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শিক্ষানবিশ পাইলটের দেহ পাওয়া যায় এবং বিকাল ৩টের মধ্যে পাইলটের দেহ পাওয়া যায়। এখনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে এনডিআরএফ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। পরে হায়দরাবাদ থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর ১৬ সদস্যের একটি বিশেষ দল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তল্লাশি অভিযানে যোগ দেয়। তবে দীর্ঘক্ষণ দেহ না মেলায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনার সমালোচনা করেছিলেন অ্যালকেমিস্ট এভিয়েশনের পরিচালক রবি পাঠক। বিমানের শেষ অবস্থান স্পষ্ট থাকার পরেও কেন দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। জানা গিয়েছে, এবার বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বাহিনী।