উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে মাঠ থেকে উদ্ধার হল দুই দলিত নাবালিকার মৃতদেহ। অপরজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসছিল।
পারিবারিক জমি থেকে পশুখাদ্য সংগ্রহের জন্য বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনজন। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। তারপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে তিনজনের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। উন্নাওয়ের পুলিশ সুপার আনন্দ কুলকার্নি জানিয়েছেন, জমির এক কোণে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন তিনজন। এক নাবালিকার ওড়না দিয়েই বাঁধা হয়েছিল। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৩ এবং ১৬ বছরের দুই নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অপর নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য উন্নাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কানপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান লখনউ পুলিশের আইজি লক্ষ্মী সিং। মাঠটি সিল করে দেওয়া হয়। আসে ফরেন্সিক দল। আনা হয় স্নিফার ডগও। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। সম্ভবত বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল। চার সদস্যের চিকিৎসক দলের তরফে মৃতদের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। পুরো ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। উন্নাওয়ের মহকুমার শাসক নানকুও সেখানে আছেন।
তারইমধ্যে নাবালিকাদের দেহ কবর দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। নাবালিকা হওয়ায় নিয়ম মোতাবেক মৃতদের করব দেওয়া হবে। সেজন্য মাটি খননকারী যন্ত্রও নিয়ে আসার চেষ্টা করে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভে তা গ্রামের বাইরেই আটকে আছে। তাঁদের বক্তব্য, আগে পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দিতে হবে। একইসঙ্গে তিন নাবালিকার পরিবারের চার সদস্যকে আটক করে রাখার জেরে বিক্ষোভ চলছে। ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।