ত্রিশঙ্কু লড়াইয়ে জমে উঠল বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদের (বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল) নির্বাচনের ফলাফল। আপাতত ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল) এবং বিজেপির থেকে সামান্য এগিয়ে আছে বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ)। তবে ইউপিপিএলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপিও।
শনিবার সকাল আটটা থেকে ৪০ আসনের স্বশাসিত পরিষদের ভোটগণনা শুরু হয়। যে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত আছে চারটি জেলা - কাকরাঝাড়, চিরাং, বাক্সা এবং উদালগুড়ি। রাত ১০ টা পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী, আটটি আসনে জিতেছেন বিপিএফ প্রার্থীরা। আরও ন'টি আসনে এগিয়ে আছে বিপিএফ। ইতিমধ্যে ইউপিপিএলের ঝুলিতে গিয়েছে ন'টি আসন। তিনটি আসনে এগিয়ে আছেন ইউপিপিএল প্রার্থীরা। সাতটি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। এগিয়ে আছে তিনটি আসনে। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে এগিয়ে আছে।
২০১৫ সালে ২০ টি আসন জিতে পরিষদের ক্ষমতা দখল করেছিল বিপিএফ। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছিলেন ১৫ টি আসনে, অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) ঝুলিতে গিয়েছিল চারটি আসন এবং একটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। সে বছর বিজেপি এবং এআইইউডিএফ প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
তবে এবার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। আগ্রাসী প্রচারের সৌজন্যে একলাফে আসন বেড়েছে বিজেপির। আপাতত যা ট্রেন্ড, তাতে এককভাবে কোনও দলই ২০ টি আসনের গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। যেহেতু বিপিএফ এবং বিজেপির একে অপরের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচার চালিয়েছিল, তাই ক্ষমতায় আসার জন্য ইউপিপিএলের সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বড়োল্যান্ড চুক্তির মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী লড়াই শেষের পর সে বছরের ডিসেম্বরের তৈরি হয় বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল। তারপর থেকে স্বশাসিত পরিষদের ক্ষমতায় ছিলেন হাগরামা মহিলারি। যিনি এখন বিপিএফের প্রধান। তৃতীয় সঙ্গী হিসেবে শাসক দল বিজেপির জোটেও আছে সেই দল। কিন্তু স্বশাসিত পরিষদে রাজ্যপালের শাসন জারির পরই বিপিএফ এবং বিজেপির মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে। তার জেরে পৃথকভাবে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দু'দল। ৩৭ টি আসনে প্রার্থী দেয় বিপিএফ। বিজেপি ২৬ টি আসনে সরাসরি লড়াইয়ে নামে। বাকি আসনগুলিতে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন জোগায়।