হায়দার নকভি
আয়কর দফতরের আধিকারিক ছিলেন বিমলেশ শোঙ্কর। তাঁর মৃত্য়ু হয়েছিল প্রায় ১৭ মাসে আগে। আর ১৭ মাস ধরে কানপুরের বাড়িতেই তাঁর দেহ রেখে দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস, তিনি কোমায় রয়েছেন। আপাতত পরিবারের সদস্য়দের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে সরকার।
সূত্রের খবর, গত বছর এপ্রিল মাসে মারা গিয়েছিলেন তিনি। আর গত রবিবার তাঁর দেহ শেষকৃত্য করা হল। পরিবারের লোকজনের বিশ্বাস, চিতায় ওঠানোর সময়তেও তিনি কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। মনোবিদদের দিয়ে তাঁদের পরীক্ষা করা হবে। তাঁর মধ্য়ে মৃতের বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই ভাই রয়েছেন।
কানপুর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরেও কেন তাঁর দেহ এভাবে রেখে দেওয়া হল?
তিনি বলেন, পুলিশ আইনগত মতামত নিচ্ছে। পরিবার কোনও আইন ভেঙেছেন কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। মুখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অলোক রঞ্জন জানিয়েছেন, চিকিৎসকের একটি প্য়ানেল তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের ওই বাড়িতে পাঠানো হবে।
বিমলেশ নিজে ছিলেন আয়কর আধিকারিক। স্ত্রী সমবায় ব্য়াঙ্কে কাজ করেন। সম্ভবত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বিমলেশ বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। এরপর চিকিৎসক একটি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন তাঁকে। তারপরই তিনি অচৈতন্য় হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ তাহির বলেন, সেদিন শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। আচমকাই বলা হয় তিনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। অপর এক প্রতিবেশীর দাবি,সেদিন তেল মাখানোর সময় বুঝতে পারছিলাম নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। কীভাবে রাখা হত দেহ?
বাড়িতেই এসি চালিয়ে দেহটি রাখা হয়েছিল। কোনও একটি মলম শরীরে মাখানো হত। কিন্তু সেটা পরিবারের সদস্যরা জানাননি।