মধ্য হাওড়ায় অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। একটি দোতলা বাড়ির একতলা থেকে উদ্ধার হল এক বৃ্দ্ধার দেহ। একেবারে পচে গলে গিয়েছে দেহ। ২-৩দিন আগে তিনি সম্ভবত মারা গিয়েছেন। আর সেই বাড়ির দোতলার ঘরে দেখা গেল বসে রয়েছেন মেয়ে। তাঁর কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি ঘরে এসি চালিয়ে বসেছিলেন। তিনি জানেন না মা মারা গিয়েছেন একতলায়। বাসিন্দারা পচা গন্ধ পেয়ে বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে। তিব্বতি বাবা লেনের ঘটনা। মৃতার নাম মিনতি মুখোপাধ্য়ায়। বয়স ৭০ বছর। কয়েকবছর আগে স্বামী দিলীপ মুখোপাধ্য়ায় মারা যান। এরপর মেয়েকে নিয়ে থাকতেন মিনতি। স্বামীর পেনশনের টাকায় মা মেয়ের দিন চলত। স্বামী রাজ্য সরকারের অধীন একটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে মেয়ের মানসিক কিছুটা সমস্যা রয়েছে। একই বাড়িতে থাকলেও তিনি বুঝতে পারেননি যে মা মারা গিয়েছেন। প্রতিবেশীরা তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়রাই গন্ধ পেয়ে বাড়িতে এসে মিনতি দেবীর দেহ উদ্ধার করেন। মেয়ে কাকলি এনিয়ে কিছু বলতে পারেননি।
এদিকে গোটা ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে মেয়ে এনিয়ে কিছুই বলতে পারেননি। কেন তিনি মায়ের মৃত্যুর কথা জানতে পারলেন না, কখন তিনি মারা গিয়েছেন তা বোঝা গেল না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে। তারা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। তারা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।