প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প প্রজেক্ট চিতা। সেই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ভিনসেন্ট ভ্যান দার মারউয়ির। আর সৌদি আরবের রিয়াধে তাঁরই দেহ উদ্ধার হল এবার। সৌদির রিয়াধের একটা অ্য়াপার্টমেন্টে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর জেরে পরিবেশ সংরক্ষণে নিয়োজিত অনেকের মধ্য়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভারতের কুনো ন্যাশানাল পার্কে নিয়ে আসা হয়েছিল চিতা। আর সেই চিতা আনা হয়েছিল সেই সুদূর আফ্রিকা থেকে। আর সেই কাজে যিনি সবথেকে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন ভিনসেন্ট ভ্যান দের মারউয়ি। তাঁর দেহ মিলেছে একটি অ্য়াপার্টমেন্ট থেকে। সৌদির একটি অ্য়াপার্টমেন্ট থেকে তাঁর নিথর দেহ মিলেছে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ওই ব্যক্তির পরিবার সমাজমাধ্য়মে দাবি করেছে যে এটা দুর্ঘটনা নয়। তবে আধিকারিকরা এর মধ্য়ে অন্য়রকম কিছু দেখছেন না। খবর ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে।
দ্য মেটাপপুলেশন ইনিসিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা ভ্যান দের মারউয়ি কেবলমাত্র এশিয়াতে নয়, তিনি আফ্রিকাতেও পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তিনি রিয়াধে কী করছিলেন?
প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে তিনি রিয়াধে গিয়েছিলেন। আসলে সৌদি আরবের সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছিলেন তিনি। সৌদিতে চিতা নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা চলছে। তারই অঙ্গ হিসাবে তিনি কাজ করছিলেন। সেকারণেই তিনি রিয়াধে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কাজ করছিলেন। সেখানেই একটি অ্য়াপার্টেমেন্ট থেকে তাঁর দেহ মিলেছে।
প্রসঙ্গত ভ্য়ান দের মারউয়ি সরাসরি মোদীর স্বপ্নের চিতা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কুনো ন্যাশানাল পার্কে তাঁরই উদ্যোগে চিতা আনার কাজ করা হয়। সাউথ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে যে চিতা আনা হয়েছিল সেগুলির অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন এই ভ্যান। ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে কীভাবে মানিয়ে নেবে চিতারা সেটা নিশ্চিত করতেও নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন ভ্যান।
এদিকে ভারতে চিতা আনার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা ছিল। তবে তার মধ্য়েই ভ্যান নানা উদ্যোগ নেন।