আফগানিস্তানের শিয়া মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সূত্রের খবর, শুক্রবার অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই বিস্ফোরণে। তালিবানের নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধাপে ধাপে মার্কিন বাহিনী তুলে নেওয়া হয়েছে আফগানিস্তান থেকে। এরপর এই ধরনের ভয়াবহ বিস্ফোরণ আর হয়নি। তবে এদিনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। মনে করা হচ্ছে তালিবানি শাসনকে একেবারে নাড়িয়ে দিতে এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। প্রচুর বাসিন্দা জখম হয়েছেন বিস্ফোরণে। কুন্দুজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, অন্তত ৩৫জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। ৫০ জন জখমকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ জানিয়েছেন, কতজন মারা গিয়েছেন বা আহত হয়েছেন তা নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে মসজিদের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয়েছে।' এদিকে এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় নিতে চায়নি। মনে করা হচ্ছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের হাত এর পেছনে থাকতে পারে। কারন এরাই তালিবানের ঘোরতর বিরোধী বলেই পরিচিত।
বাসিন্দাদের দাবি, জুম্মাবারে মসজিদে প্রার্থনা চলছিল। সেই সময়ই আচমকা বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ভাবতে পারছি না এই ধরনের ঘটনা। অ্যাম্বুল্য়ান্সগুলি একের পর এক ঘটনাস্থল গিয়েছে শুধু মৃতদেহ আনার জন্য। অনেকেরই ধারণা মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে। এদিকে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনে শুধুই কান্নার রোল। তবে তালিবান যুবকরা বার বার চাইছে ভিড় সরিয়ে দিতে। কারন এই ভিড়ের মাঝেই আবার বিস্ফোরণ হতে পারে।
এদিকে একাধিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রক্তে ভিজে গিয়েছে মসজিদের মাটি। এক যুবক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনেই ছুটে গিয়েছিলাম। পরে দেখি দাদা অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে।অপর এক শিক্ষিকা বলেন, আমার ১৬ বছরের এক প্রতিবেশীর মৃত্যু হয়েছে। তার অর্ধেক শরীর পাওয়া যায়নি।