গুজরাটের আমদাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ হওয়া এক আন্তর্জাতিক বিমানের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া চিঠি। চিঠি উদ্ধার হতেই গুজরাটের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। ছুটে আসে স্থানীয় পুলিশ থেকে বম্ব স্কোয়াড।
তবে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়নি। স্থানীয় পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড, বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বিমানের সিট থেকে এই চিঠি উদ্ধার হয়েছে। পিটিআইকে গুজরাট পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার শরদ সিঙ্ঘল জানিয়েছেন,' যাত্রী সহ জেড্ডাহ থেকে আমেদাবাদগামী একটি বিমান আসে আজ সকালে। তখনই বিমান থেকে যাত্রীরা নামার পর সাইফকর্মীরা একটি নোট উদ্ধার করেন। যেখানে বিমান ওড়ানোর হুমকি দিয়ে চিঠি লেখা ছিল। স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তা এজেন্সি সেখানে যায়। শুরু হয়েছে তদন্ত।'
( Meta Layoffs: নজরে খারাপ পারফরম্যান্স! সাড়ে ৩০০০ কর্মী ছাঁটতে পারে জাকারবার্গের মেটা- Report)
এদিকে, চিঠির নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ময়দানে নেমেছে পুলিশ। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ফিঙ্গার প্রিন্টস খতিয়ে দেখছেন। এছাড়াও সমস্ত যাত্রীদের হাতের লেখা দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে থেকেই কেউ বিমানের ভিতর ওই চিঠি রেখে গিয়েছেন, কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই চিঠি ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে, মুম্বইগামী এক বিমানে হাইজ্যাকিংর অ্যালার্ট ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। যে অ্যালার্ট চলন্ত বিমানের পাইলটের থেকে কন্ট্রোল রুমের কাছে গিয়েছিল। তারপর আমেদাবাদ বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের পর এই চিঠি উদ্ধার ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শুধু বিমানে নয়, বেশ কিছু দিন আগে দিল্লি এনসিআর-র স্কুলে ও কলেজে এই ধরনের বোমা বিস্ফোরণের হুমকি আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছায় ডগ-স্কোয়াড, বিস্ফোরণ নিষ্ক্রীয় সংক্রান্ত স্কোয়াডও সেখানে পৌঁছায়। পরে তা ভুয়ো বলে দেখা যায়। এদিকে, আমেদাবাদ বিমানবন্দরের ঘটনাতেও সেরকম সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।